এবার পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন জন ক্লার্ক, মিশেল দেভরেট ও জন এম মার্টিনিস। তারা ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেলে পৌনে ৪টার দিকে তাদের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।
বৈদ্যুতিক সার্কিটে ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং ও শক্তি পরিমাপ আবিষ্কারের জন্য এবারের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তারা। এর সঙ্গে তারা নগদ অর্থও পাবেন। এর পরিমাণ ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার যা ৯৯৭,০০০ ইউরোরও বেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর অর্থমূল্য প্রায় ১৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। যেসব বিভাগে একাধিক নোবেলজয়ী থাকবেন, তাদের মধ্যে এই অর্থ সমান ভাগে ভাগ করে দেয়া হবে।
পদার্থবিজ্ঞানের একটি বড় প্রশ্ন হলো, কত বড় কোনো বস্তু বা ব্যবস্থা কোয়ান্টাম জগতে প্রভাব ফেলতে পারে। এ বছর নোবেলজয়ীরা এমন একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন, যা হাতে ধরা যায়। সেই সার্কিটে তারা কোয়ান্টাম টানেলিং এবং শক্তির নির্দিষ্ট স্তর—দুটি বিষয়ই দেখিয়েছেন।
জন ক্লার্ক ১৯৪২ সালে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন এবং বর্তমানে অধ্যাপনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। মিশেল দেভরেট ১৯৫৩ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পিএইচডি করেছেন ১৯৮২ সালে ফ্রান্সের প্যারিস-সুড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। জন এম মার্টিনিসের জন্ম ১৯৫৮ সালে। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন এবং সেখানেই অধ্যাপক হিসেবে রয়েছেন।
এর আগে ২২৬ জন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন। একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে জন বারডিন দুইবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। দুবারই যৌথভাবে এই পুরস্কার পান তিনি। গতকাল সোমবার চিকিৎসায় নোবেল প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ বছর চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন ম্যারি ই. ব্রুনকো, ফ্রেড রামসডেল ও শিমন সাকাগুচি। মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার কার্যপ্রণালী বিষয়ে গবেষণার জন্য দুই মার্কিন ও এক জাপানি গবেষক এই পুরস্কার পেয়েছেন।
১৯০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পদার্থবিদ্যায় ১১৮ বার নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে, বিজয়ী হয়েছেন পাঁচজন নারীসহ ২২৭ জন। গত বছরের পদার্থবিদ্যার পুরস্কারটি পদার্থবিজ্ঞানী জন হপফিল্ড এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী জিওফ্রে হিন্টনকে দেয়া হয়। হিন্টনকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অন্যতম গডফাদার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।