জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে উচ্চক্ষের একটা উপযোগিতা তৈরি হয়েছে। কারণ অতীতে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল নিজেদের মতো করে সংবিধান পরিবর্তন করেছে। এর মাধ্যমে প্রধান বিচারপতিদের বয়সসীমা বৃদ্ধির আইন সংশোধন করা হয়েছে। যার ফলে এক এগারোর মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। সাংবিধানিক সংকটের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে উচ্চকক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পৃষ্ঠপোষকতায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ কি জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারব’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। সিপিডি ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত প্রধান এইচ ই মাইকেল মিলার, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসানর রুবেল, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য রুহিন হোসাইন প্রমুখ।
আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এসে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের মাধ্যমে সেটি বাতিল করে। এরপর স্বৈরতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা হয় শুধু সংবিধানের মাধ্যমে। পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ না হলে এটির আর কোনো উপযোগিতা থাকে না। কারণ কোনো একক দল নিম্নকক্ষে ৫০ শতাংশের বেশি আসন পায় না। ফলে উচ্চকক্ষে যেন কোনো ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য ওই দলের অন্য রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে।
আখতার বলেন, উচ্চকক্ষ চূড়ান্তভাবে কোনো আইন আটকে রাখতে পারবে না। কিন্তু যে কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আলোচনার করার যে পরিসর তৈরি করবে সেটা খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে৷ আগের বিভিন্ন সময় সংশোধনীর মাধ্যমে যে সাংবিধানিক সংকটের তৈরি হয়েছে সেটির রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে উচ্চকক্ষ।