বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, তিনটি তামাশার নির্বাচনের পরও তারা সেটিকে সফল নির্বাচন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এমনকি শেখ হাসিনার গলায় মালা পরিয়েছে। এটি প্রমাণ করে তারা বাংলাদেশের জনগণের নয়, বরং একটি দলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। প্রতিবেশী একটি দেশ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসে সহযোগিতা করেছে। আমরা খুনি সরকারকে বিদায় করেছি, তবে কাজ এখানেই শেষ নয়। এখন দরকার একটি সত্যিকারের জাতীয় নির্বাচন এবং গণভিত্তিক সরকার গঠন। যতদিন তা না হবে, ততদিন আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপস করা যাবে না।
বুধবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘২৪ জুলাই যোদ্ধা আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মো. রহমতউল্লাহ, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে. এম. রকিবুল ইসলাম রিপনসহ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।
দুদু বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গত ১৭ বছরে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন ও সহায়তা দেওয়া হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এরই মধ্যে শহীদ ও আহত পরিবারের জন্য নিজ ফান্ড থেকে সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছেন এবং সরকার গঠনের পর এ উদ্যোগ আরও বিস্তৃত করা হবে। বিএনপি এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় যায়নি, বিএনপি তো এখন ক্ষমতায় নেই, এমপি নেই, সরকারে নেই—তাহলে ব্যর্থতার দায় বিএনপির কেন? দেশে যা কিছু ঘটছে তার দায় বিএনপির ঘাড়ে চাপানো অনুচিত। দেশে একটি সরকার আছে, সেই জায়গাটাতেই নজর দিতে হবে। বিবিসিকে দেওয়া তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারটি অত্যন্ত গঠনমূলক ও হৃদয়স্পর্শী। সেখানে দেশের সমস্যাগুলো খুব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন তিনি।