জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে, জাতীয় নির্বাচনের আগে নাকি একই দিনে গণভোট হবে সে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি দলগুলো। এমনকি নোট অব ডিসেন্ট নিয়ে আলাদাভাবে জনরায় নেয়া হবে কি না সেই সিদ্ধান্তও হয়নি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩ টি গণভোট হয়েছে। সংবিধানের বড় ও বেশি সংখ্যক পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে গণভোটের প্রস্তাব এটাই প্রথম।
বাড়তি অর্থ অপচয় না করে একইদিন জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করা উচিত বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। একসাথে দুই ভোট আয়োজন করতে কমিশন সক্ষম। প্রয়োজনে অভিজ্ঞদের পরামর্শ ও সহায়তা নেয়া হবে। বাড়ানো হবে লজিস্টিক সাপোর্ট। এতে জনগণের কয়েকশ কোটি টাকা বাঁচবে। এই কর্মযজ্ঞ ইসির জন্য চ্যালেঞ্জ হবে। তবে বিষয়টি অসম্ভব নয়। পরিস্থিতি অনুযায়ী কেন্দ্র, বুথ সব ধরনের লজিস্টিকস বাড়ানো হবে। ইসির সে সক্ষমতা রয়েছে।
একইদিন নির্বাচন হলে ভোটদানের সময়, কারিগরি সক্ষমতা ও গণনাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, দুইদিনে ভোট হলে অর্থ ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টিও তারা বিবেচনায় রাখছেন। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ জেসমিন টুলি বললেন, এই সময়ে কাগজের সংকটও একটি বিষয়। ১২ কোটি ভোটারের জন্য বিশাল কাগজের প্রয়োজন হয়, সাথে আরেকটা ব্যালট গণভোটের, আবার বাচ্ছাদের বইয়ের জন্যও কাগজ লাগবে। একদিনে ভোট নেয়া হলে প্রত্যেকটা বুথে ভোটার কমিয়ে আনতে হবে। অথবা ভোটের সময় বাড়াতে হবে। ভোট গণনার জন্য দ্বিগুণ মানুষ লাগবে। তাদের প্রশিক্ষণের বিষয়ও আছে।