ঢাকা, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫ | ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ | ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম

চীন থেকে ২০টি জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কিনছে সরকার

চীন থেকে ২০টি জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কিনছে সরকার

দেশের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আরও শক্তিশালী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে (বিএএফ) আধুনিকায়নের লক্ষ্যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। চীন থেকে ২০টি জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলো বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বহুলাংশে বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ নিয়ে একটি পোস্ট হয়েছে। বিমান কেনার এই চুক্তি ২০২৫-২৬ ও ২০২৬-২৭—এ দুই অর্থবছরের মধ্যে বাস্তবায়নের আশা করা হচ্ছে। জানা গেছে, এই বিপুলসংখ্যক যুদ্ধবিমান সংগ্রহে চীন সরকারের সঙ্গে সরাসরি ক্রয় বা জিটুজি পদ্ধতির মাধ্যমে চুক্তি সম্পাদিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে তৈরি করা সম্ভাব্য খরচের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিটি ফাইটার জেটের দাম ৬ কোটি ডলার প্রাক্কলন করা হয়েছে, এতে ২০টি বিমানের মোট দাম দাঁড়ায় ১২০ কোটি ডলার বা প্রায় ১৪ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা। স্থানীয় ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতি কেনা এবং পরিবহন খরচ বাবদ আরও ৮২ কোটি ডলার বা ১০ হাজার ৮৬ কোটি টাকা যোগ হবে। এর সঙ্গে বিমা, ভ্যাট, এজেন্সি কমিশন, পূর্ত কাজসহ অন্যান্য খরচ যোগ করলে মোট ব্যয় হবে ২২০ কোটি ডলার।

জে-১০ সিই হলো চীনা বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা চেংডু এয়ারক্রাফট করপোরেশন নির্মিত জে-১০ মাল্টিরোল যুদ্ধবিমানের রপ্তানি সংস্করণ। এই যুদ্ধবিমান অত্যাধুনিক এভিওনিক্স, উন্নত রাডার-ব্যবস্থা এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বহন করার সক্ষমতা রাখে। এই বিমানগুলো বিমান বাহিনীতে যুক্ত হলে তা দেশের আকাশসীমা রক্ষা এবং যেকোনো নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) মোট ২১২টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যার মধ্যে ৪৪টি ফাইটার জেট। এর মধ্যে ৩৬টি চীনা নির্মিত এফ–৭ যুদ্ধবিমান। বিএএফের বহরে পুরোনো মডেলের পাশাপাশি আটটি মিগ-২৯বি এবং রাশিয়ান ইয়াক ১৩০ লাইট অ্যাটাক বিমান রয়েছে। জে-১০ সিরিজ যুক্ত হলে তা বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হবে। সরকারের এই উদ্যোগ জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি এবং সশস্ত্র বাহিনীর ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর লক্ষ্য পূরণের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।