ঢাকা, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫ | ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ | ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাবের হোসেনের বাসায় রাষ্ট্রদূতদের বৈঠক ‘ব্যক্তির বাসায় বৈঠক’

সাবের হোসেনের বাসায় রাষ্ট্রদূতদের বৈঠক ‘ব্যক্তির বাসায় বৈঠক’

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর ঢাকার বাসায় তিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠককে ‘ব্যক্তির বাসায় বৈঠক’ হিসেবে দেখা উচিত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা বরং আমরা এভাবে দেখি, তারা একজন ব্যক্তির বাসায় গেছেন। তিনি যদি অপরাধী হতেন অবশ্যই তাকে হেফাজতে রাখা হতো, এটাতো হয় নাই। আর রাষ্ট্রদূতরা যে কারো বাসায় যেতে পারেন। তবে তারা কি নিয়ে কথাবার্তা বলেছেন, সেটার ফলাফল নিয়ে বিতর্ক চলতে থাকতে পারে। এমনিতে গেছেন তারা, এটা নিয়ে তাদের আমার বলার কিছু নাই। আমি কিন্তু কলকাতায় রাষ্ট্রদূত না এক ধাপ নিচে ছিলাম। কিন্তু আমি যে কারও বাসায় গেছি, কোনো সমস্যা হয় নাই।

বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলো থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি নামিয়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে দেশ-বিদেশে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে আক্ষেপ প্রকাশ করে সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি দিয়েছেন।  রাষ্ট্রপতির চিঠি হাতে পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপদেষ্টা।

তৌহিদ হোসেন বলেন, উনি তার অনুভূতিটা ব্যক্ত করেছেন। এটা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। চিঠিটা আমি পেয়েছি, অবশ্য দেরিতে; এটা সামাজিক মাধ্যমে চলে আসছে অনেক আগে। চিঠিটা ফিজিক্যালি আমার কাছে পৌঁছেছে অনেক দেরিতে। আমার মনে হয় এটা নিয়ে কথা না বলি। রাষ্ট্রপতি, উনি অনেক উপরের বিষয়। উনি তার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন, এতটুকুতে আমরা থাকি। রাষ্ট্রপতির ছবি নামানো নিয়ে কোনো কোনো আইনও করা হয়নি, চিঠিও ইস্যু করা হয়নি। কিন্তু এমনিতে সাধারণভাবে কোনো ছবি থাকবে না এটাই হলো নিয়ম। আমার মনে হয় এটা নিয়ে এখানেই আমরা থেকে যাই। এটা নিয়ে বিতর্ক থাকবে…।

উল্লেখ্য, গত আগস্টে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশে বাংলাদেশি যেসব মিশনগুলোতে রাষ্ট্রপতির ছবি টাঙানো ছিল, সেগুলো নামানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে দেশ-বিদেশে নানা আলোচনা চলে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে লেখা এক চিঠিতে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি ছবি অপসারণের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হওয়া আলোচনার কারণে বিশ্বব্যাপী তার সম্মান ভুলুণ্ঠিত হয়েছে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি সরকারের জিরো প্রোট্রেট নীতিতে সমর্থনের কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের আরও কৌশলী উপায়ে এটি করা যেত বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।