জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়) সম্মেলনটি শুরু হবে। এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্মেলনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ কমপক্ষে ৭৫টি দেশ ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
জাতিসংঘ আয়োজিত এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো- রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে রাজনৈতিক সমর্থন জোগাড় করা, আন্তর্জাতিক দৃষ্টি ও মনোযোগ ধরে রাখা, সংকটের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা এবং মানবাধিকারসহ মূল কারণগুলো নিয়ে আলোচনা করা। সম্মেলনে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়টি মূল অগ্রাধিকার হিসেবে উঠে আসবে। অংশগ্রহণকারীরা মাঠপর্যায়ের বাস্তব চিত্র তুলে ধরবেন এবং একটি পূর্ণাঙ্গ, উদ্ভাবনী, বাস্তবমুখী ও সময়-নির্ধারিত পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রস্তাব দেবেন।
এদিকে জাতিসংঘের ৮১তম সাধারণ অধিবেশনের সভাপতির পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। ফিলিস্তিন এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের সমর্থনে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। জানা গেছে, বাংলাদেশ প্রায় ৫ বছর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর ও ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে। আমরা কয়েক দশক আগে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিলাম এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাদের ন্যায্য দাবিগুলো ধারাবাহিকভাবে সমর্থন করে আসছি। এই স্থায়ী বন্ধুত্বকে সামনে রেখে জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ পদের জন্য ভ্রাতৃপ্রতিম জাতির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার কোনো কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ফিলিস্তিনের প্রার্থিতা তাদের জাতীয় সংকটময় সময়ে বিশ্বব্যাপী সমর্থন আরও সুসংহত করতে এবং তাদের চলমান সংকট সমাধানে সহায়ক হবে। আমরা আশা করি, তাদের সাফল্য এবং নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী তাদের লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। জাতিসংঘে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ভবিষ্যতে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করবে বাংলাদেশ।