ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ | ৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

‘ভাইয়া, জোর করে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল, শুধু নির্বাচনটাই করেছিলাম’

‘ভাইয়া, জোর করে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল, শুধু নির্বাচনটাই করেছিলাম’

‘ভাইয়া, আমাকে জোর করে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু নির্বাচনটাই করেছিলাম, আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনীতিতে জড়িত হইনি। You know who. যার হাত ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত তাকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাঁচটায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

পোস্টটিতে তিনি কারো নাম উল্লেখ করলেও নেটিজেনরা ধারণা করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে উদ্দেশ্য করে পোস্টটি দিয়েছেন। সাকিব পতিত সরকারের একজন সংসদ সদস্য ছিলেন।

তিনি আরও লিখেছেন, ‘বোর্ডের কর্তারা একাধিকবার রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করতে বললেও তা না করে বরং খুনিদের এন্ডোর্স (সমর্থন) করা ছাড়াও শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, মানি লন্ডারিং, ফাইনানশিয়াল ফ্রড করা কাউকে কেন শুধু ভালো ক্রিকেটার বলেই পুনর্বাসন করতে হবে? আইন সবার জন্য সমান, Face it.’

সজীব ভূঁইয়ার এই পোস্টের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং নানামুখী আলোচনা শুরু হয়।

এর আগে রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। বাট আই ওয়াজ রাইট। এন্ড অব দ্য ডিসকাশন।’

কারো নাম উল্লেখ না করে ক্রীড়া উপদেষ্টা এ স্ট্যাটাসটি দেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের ধারণা, আসিফ মাহমুদের ইঙ্গিতটা সাকিব আল হাসানের দিকে। কেন? কারণ, রাত ৯টার দিকে সাকিব ফেসবুকে একটা ছবি পোস্ট করেছেন, যেখানে তাকে গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের পর পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। ছবির ক্যাপশনে ইংরেজি বর্ণে সাকিব লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন, আপা।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের কমেন্টে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, ‘একজনকে পুনর্বাসন না করা’ বলতে আসিফ মাহমুদ সাকিবকেই বুঝিয়েছেন। সেটা যে সাকিবও বুঝেছেন, তা স্পষ্ট হয়েছে পরে তার একটি স্ট্যাটাসে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে সাকিব নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যাক শেষমেশ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন যে তাঁর জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হলো না, বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না! ফিরব হয়তো কোনো দিন আপন মাতৃভূমিতে, ভালোবাসি বাংলাদেশ।’