তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়ে অনেক কাজই এগিয়ে নেয়ার সুযোগ হয়নি। গণমাধ্যম কমিশন ও সাংবাদিক সুরক্ষা আইন নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আটকে আছে। তবে এ আইন দ্রুত আলোর মুখ দেখতে পাবে। সাংবাদিক সুরক্ষা আইন আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে হয়ে যাবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে আগামী এক মাসের মধ্যে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্ব-নিয়ন্ত্রণ ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা: রাজনৈতিক ও নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন। সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। এতে সহযোগিতা করেছে যুক্তরাজ্য সরকার এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, বলেন, গণমাধ্যম এখনো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ। গণমাধ্যমকে সব গোষ্ঠী স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে এ সবই নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বদিচ্ছা ও ঐকমত্যের ওপর। সিভিল মিলিটারি আমলাতন্ত্রকে ফ্যাসিস্ট মুক্ত না করে মিডিয়াকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করা সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা না দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
মাহফুজ আলম বলেন, মে মাস থেকেই অনেকে আমাদের পদত্যাগের দাবি করছেন। তাই গত দুই মাস ধরে অপেক্ষায় আছি, কখন নেমে যাব। আমি খুব কম সময়ের জন্য দায়িত্ব নিয়েছি। স্বল্প সময়ে যতটুকু করা সম্ভব সেটা করছি। তবে আমাদের বয়স ও অভিজ্ঞতা কম। জনগণ নিশ্চয়ই এজন্য আমাদের ক্ষমা করবে। আমলারা এখন পরবর্তী সরকারের অপেক্ষায় আছেন। আর আমি অপেক্ষায় আছি, কখন নেমে যাব। যেকোনো সময়ে নেমে যেতে পারি, তাই পদত্যাগের দাবি করে কোনো লাভ নেই।