ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ | ৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম

বিজিবি মহাপরিচালক

বিজিবি সব সময় জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে

বিজিবি সব সময় জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, বরং এটি বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য ও মিলনমেলার প্রতীক। পুণ্যার্থীরা নির্ভয়ে, আনন্দমুখর পরিবেশে পূজার সব আচার-অনুষ্ঠান পালন করবেন—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমাদের দায়িত্ব শুধু সীমান্ত পাহারা নয়, মানুষের নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করা। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার—এই চেতনায় বিজিবি সব সময় জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী ভোমরা স্থলবন্দরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময়  উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল আশরাফুল হক, অধীনস্থ ৩৩ বিজিবির বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের কমান্ডার, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা ।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনায় সীমান্তবর্তী এলাকায় পূজার সময় যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সে জন্য বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, যেকোনো প্রকার চোরাচালান বা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, বিজিবি হবে সীমান্তের আস্থা ও নিরাপত্তার প্রতীক। সীমান্তবর্তী মানুষের যেকোনো সংকটে বিজিবি পাশে থাকবে। সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি বিজিবি মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে দুর্গম ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে। উপকূলীয় জনপদের বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর করতে আমরা এই প্রকল্প হাতে নিয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তন ও লবণাক্ততার কারণে উপকূলের মানুষ পানি সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। উপকূলীয় মানুষদের প্রধান সমস্যা সুপেয় খাবার পানি।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী এস আর হাইস্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সুপেয় পানি প্রকল্প উদ্বোধন করেন বিজিবি মহাপরিচালক। প্রকল্পটির মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার পরিবার নিরাপদ পানি সংগ্রহ করতে পারবেন। পানির প্রকল্প উদ্বোধন শেষ শতাধিক দুস্থ অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া শতাধিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।