ঢাকা, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫ | ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ | ৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম

আরসিইপি বাণিজ্য জোটে যোগ দিতে চায় বাংলাদেশ

আরসিইপি বাণিজ্য জোটে যোগ দিতে চায় বাংলাদেশ

চীনের নেতৃত্বাধীন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মুক্ত বাণিজ্য জোট রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপে (আরসিইপি) যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ, হংকং, শ্রীলঙ্কা ও চিলি। তাদের আগ্রহ বাস্তবে রূপ নিলে দক্ষিণ এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার নতুন বাজারও বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য জোটের অন্তর্ভুক্ত হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর কর্মকর্তারা।

চীন-সমর্থিত আরসিইপি বর্তমানে ১৫টি দেশকে নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে রয়েছে— চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের ১০ সদস্য দেশ। ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত এ চুক্তি বিশ্বের মোট জিডিপির প্রায় এক-তৃতীয়াংশকে অন্তর্ভুক্ত করে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে এই চুক্তি কার্যকর হয়। 

এই জোটের অর্থনৈতিক আয়তন বিশ্বের মোট জিডিপির ৩০ শতাংশ। এর ফলে এই চুক্তি বিশ্বের সবচেয়ে বড় অবাধ বাণিজ্য এলাকা তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র কানাডা ও মেক্সিকোর মধ্যে যে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল রয়েছে, সেই অঞ্চল, এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়েও এশিয়ার নতুন এই বাণিজ্য অঞ্চলের পরিধি বড়। আরসিইপিভুক্ত ১৫টি দেশের মোট জনসংখ্যা ২৩০ কোটি (বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ); বাজারের আকার ২৬ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার।

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে চলমান আসিয়ান বাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে আরসিইপি কর্মকর্তারা জানান, নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জোটের তেমন কোনো আপত্তি নেই। তারা হংকং, শ্রীলঙ্কা, চিলি ও বাংলাদেশকে সদস্য হিসেবে নিতে প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছেন।

ইন্দোনেশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিয়া রোরো এসতি বিদ্যা পুত্রি সাংবাদিকদের বলেন, আরসিইপিতে যোগ দিতে আগ্রহী যেকোনো দেশকে আমরা স্বাগত জানাই।

মালয়েশিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী তেংকু জাফরুল আজিজ বলেন, নতুন সদস্য গ্রহণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসন্ন অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য শীর্ষ সম্মেলনে নেওয়া হবে। পাঁচ বছর পর এ সম্মেলনে আরসিইপি নেতারা মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন। ওই সম্মেলনে ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তির উন্নয়ন বা হালনাগাদ নিয়েও আলোচনা হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ নীতির বিরুদ্ধে আরসিইপি একটি সম্ভাব্য বাণিজ্যিক সুরক্ষা হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে সদস্য দেশগুলোর ভিন্নমুখী স্বার্থের কারণে এই চুক্তির শর্তগুলো তুলনামূলকভাবে কিছু অন্যান্য আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তির চেয়ে দুর্বল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।