ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ | ২ আষাঢ় ১৪৩২ | ১৯ জিলহজ ১৪৪৬

সহকারী সেরেস্তাদারের বিরুদ্ধে জমি জালিয়াতির অভিযোগ

সহকারী সেরেস্তাদারের বিরুদ্ধে জমি জালিয়াতির অভিযোগ

গ্লোবাল টিভি ছবি

এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সাত শতাংশ জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মাসুদ খানসহ ৫ ভাই-বোন।

শুক্রবার পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের বরুনবাড়িয়া নিবাসী মোঃ মাসুম খান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা ৪ ভাই ও ৩ বোন। আমার মায়ের বাবার বাড়ি পটুয়াখালী পৌরসভাধীন ৯ নং ওয়ার্ডের টাউন কালিকাপুরে। তিনি ওয়ারিশ সূত্রে ৭ শতাংশ জমির মালিক। আমার মা রাহিমা বেগম মৃত্যু বরণ করায় আমরা ভাই-বোন ওয়ারিশ সূত্রে ৭ শতাংশ জমির মালিক। আমি মালয়েশিয়ায় থাকার সুযোগে আমার মামাতো ভাই পটুয়াখালী যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতের সহকারী সেরেস্তাদার মো. মাহাতাব খন্দকার আমার অশিক্ষিত ৬ ভাই বোনকে প্রতারণার মাধ্যমে নানাবাড়ির ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি রেকর্ড করে দেয়ার কথা বলে এক কপি করে ছবি নিয়ে ৭ ভাইবোনের মধ্যে ৪ ভাই  কবির খান, মো. সোহাগ খান, বাহাদুর খান ও রেহেনা বেগমের  স্বাক্ষর নেন। আমার (মাসুদ খান ), বোন সাহিদা বেগম  ও ঝর্না বেগমের স্বাক্ষর জাল করে কোর্ট থেকে ‘ছোলেমূলে’ জাল দলিল করে নেয় মাহাতাব খন্দকার গং। 

তিনি আরো বলেন, আমি দেশে এসে কোর্ট থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করে পটুয়াখালী যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি চলমান রেখে উক্ত সম্পত্তির উপরে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। সম্প্রতি আমার মামাতো ভাই সহকারী সেরেস্তাদার মাহাতাব খন্দকার কোর্ট থেকে মামলার নথিপত্র গায়েব করে আমাদের ওয়ারিশকৃত সম্পত্তিতে বিশেষ করে এ জমিতে নিষেধাজ্ঞা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে অবৈধভাবে ঘরবাড়ি স্থাপন  করার পায়তারা করছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে ছিলেন তার ভাই কবির খান, সোহাগ খান, বোন সাহিদা বেগম ও বোন মরহুমা ঝর্না বেগমের মেয়ে লাভলি আক্তারসহ স্বজনরা।

এ ব্যাপারে সহকারী সেরেস্তাদার মাহাতাব খন্দকারে মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।