সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের অন্যতম সহযোগী এবং চকবাজার থানার ৩০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আমিনুল হক মুরাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর চকবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ দল। ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও সরবরাহের অভিযোগে পরিবেশ আইনে আমিনুল হক মুরাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। তিনি স্থানীয়দের কাছে ‘পলিথিন’ মুরাদ নামেই বেশি পরিচিত। মুরাদকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া ধানমন্ডি থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মুরাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর অস্ত্রসহ হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। তাকে হাজী সেলিমের অবৈধ লেনদেন এবং চাঁদাবাজির মূলহোতা বলে মনে করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ২৯ জুলাই হাজী সেলিমের নির্দেশে মুরাদ তার দলবল নিয়ে ছাত্রদের উপর হামলা চালায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর চকবাজারে অবস্থিত মধুপুর নিউ রহমানিয়া ট্রান্সপোটের মালিক আমিনুল ইসলাম মুরাদ। তিনি একসময় এই ট্রান্সপোর্টের কর্মচারী ছিলেন। এরপর হাজী সেলিমের আশীর্বাদে শুরু করেন নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবসা। গত ১৫ বছরে সরকার নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও সরবরাহ করে কেরানীগঞ্জ, ঢাকার চকবাজার, ইমামগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় তিনি নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। মুরাদ তার ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ পলিথিন সরবরাহ করে আসছেন। নিষিদ্ধ পলিথিন সরবরাহের অভিযোগে পরিবেশ আইনে তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। তিনি পলিথিন মুরাদ নামেই বেশি পরিচিত।
এর আগে বিভিন্ন সময় এলাকাবাসী মুরাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন এবং মিছিল করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে মুরাদের প্রধান হাতিয়ার ছিল নির্যাতন। যারা তার অপকর্মের প্রতিবাদ করতো তারাই নির্যাতনের শিকার হতো। মুরাদের বিরুদ্ধে এর আগেও দেশের বিভিন্ন টেলিভিশন ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।