ঢাকা, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ পৌষ ১৪৩২ | ১০ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম

সমুদ্রপথে ইউরোপে পাড়ি জমানো অবৈধ অভিবাসীর ৩০ শতাংশই বাংলাদেশি

সমুদ্রপথে ইউরোপে পাড়ি জমানো অবৈধ অভিবাসীর ৩০ শতাংশই বাংলাদেশি

উন্নত জীবনের আশায় সমুদ্রপথে ইউরোপে পাড়ি জমানো মোট অবৈধ অভিবাসীর ৩০ শতাংশই বাংলাদেশি। দালালের আশ্বাস আর স্বপ্নের মোড়কে সমুদ্রপথে ঝুকিপূর্ণ যাত্রা। এই নৌকাগুলো শুধু মানুষ বহন করে না, বহন করে অনিশ্চয়তা আর মৃত্যুর সম্ভাবনা। অবৈধ উপায়ে প্রবাসে গিয়ে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে গিয়ে থমকে যায় জীবন। নিঃস্ব হয় বহু পরিবার ও ভিটেমাটি। কারো স্বপ্ন বন্দি হয় কফিনে। বিদেশের মাটি না ছুঁয়েই দেশে ফেরে নিথর দেহ। বিমানবন্দরে স্বজনদের কান্না আর আহাজারি যেন প্রশ্ন তোলে এই মৃত্যুর দায় কার?

হিসেব বলছে, সমূদ্রপথে অবৈধ উপায়ে ইউরোপে পাড়ি জমানো অভিবাসীর সংখ্যায় পুরো বিশ্বকে পেছনে ফেলে শীর্ষে বাংলাদেশ। মোট অবৈধ অভিবাসীর ৩০ শতাংশই বাংলাদেশি। কোনমতে পৌঁছাতে পারলেও শেষ রক্ষা হয় না। ভুয়া কাগজপত্র কিংবা ভিসা জটিলতায় প্রতিবছর ভিনদেশে কারাবন্দি হয় অসংখ্য বাংলাদেশি। ভাগ্য অনুকূলে থাকলে সামাজিক অপমান আর তীব্র হতাশাকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ফেরেন তারা। নির্মম নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়ান আজীবন।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবৈধ অভিবাসন শুধু ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডিই নয় দেশের অর্থনীতি ও কূটনীতির জন্যও হয়ে উঠছে ঝুঁকিপূর্ণ। আবার বৈধ কাগজপত্র থাকলেও অদক্ষতার করণে শূন্য হাতে অনেককে দেশে ফিরতে হয়। যখন অভিবাসন প্রক্রিয়ার পথ অবৈধ হয়, তখন শুধু মানবিক সংকটই নয় তা রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলে।