ঢাকা, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ পৌষ ১৪৩২ | ১০ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম

রক্ষক যখন ভক্ষক; জব্দকৃত কাঠ বিক্রি করে দিলেন বন কর্মকর্তা হাবিব

রক্ষক যখন ভক্ষক; জব্দকৃত কাঠ বিক্রি করে দিলেন বন কর্মকর্তা হাবিব

জব্দকৃত কাঠ বিক্রি করে ফের নতুন করে আলোচনায় এসেছেন বহুল সমালোচিত কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন কক্সবাজার রেঞ্জের ডেপুটি রেঞ্জার হাবিবুল হক। দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে, জব্দকত কাঠ বিক্রি, বালু - মাটি বিক্রি, টাকার বিনিময়ে পাহাড় কাটার অনুমতি দেওয়াসহ নানান অভিযোগ থাকলেও সবশেষ গত  ৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন নুরুল আলম নামের এক ভুক্তভোগী। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গেলো ১৮ আগষ্ট নুরুল আলমের বসতভিটায় অনুপ্রবেশ করে কিছু সন্ত্রাসী বিক্রির উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিনের পুরোনা গর্জন, জাম, কড়ই, আম, কাঠাল সহ বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গুরুত্বপূর্ণ কাঠ কেটে ফেলেন। গাছকাটার খবর পেয়ে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ সদর রেঞ্জের অফিসার ফরেস্টর হাবিবুল হককে  মুঠোফোনে  অবহিত করলে, একজন বিট কর্মকর্তার নেতৃত্বে, একদল বনকর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাটা গাছগুলোর জব্দ তালিকা করে আব্দুল মালেক নামের এক বহিরাগত ব্যক্তির জিম্মায় ২১ পিচ গাছ রেখে দিয়ে ৬ পিচ কড়ই গাছ রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যায় বনকর্মীরা।

কিন্তু  ঘটনার পরদিনই ফরেস্টার হাবিবুল হককে  আর্থিক সুবিধা দিয়ে বনবিভাগ কর্তৃক জব্দকৃত গাছ কিনে নেন আব্দুল মালেক (গাছ জিম্মিদার)। পাশাপাশি গাছ কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেঞ্জ  কর কর্মকর্তা হাবিবুল হকের বরাবর অভিযোগ দিলেও সেটিও কোন আমলে নেন নি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগটা আসার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়া পর সত্যতা পাওয়া গেলে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে তদন্ত কমিটির প্রধান, সহকারী বন সংরক্ষক মনিরুল আলম জানিয়েছেন সরেজমিনে গিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর প্রতিবেদন দেওয়া হবে। পাশাপাশি জব্দকৃত কাঠ বিক্রি করে দেওয়ার কোন এখতিয়ার কারও নেই। তবে অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলতে রাজি নন অভিযুক্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক। একাধিকবার মঠোফোনে যোগাযোগ ও অফিসে গিয়েও পাওয়া যায়নি তাকে। পাশাপাশি ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হলেও মিলেনি কোন উত্তর।