ঢাকা, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ পৌষ ১৪৩২ | ১০ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম

দ্বিতীয় বিয়ে করায় ৫ দিন ধরে শ্বশুরবাড়িতে শিকলবন্দী স্বামী

দ্বিতীয় বিয়ে করায় ৫ দিন ধরে শ্বশুরবাড়িতে শিকলবন্দী স্বামী

দ্বিতীয়বার বিয়ে করায় এক ব্যক্তিকে শিকলবন্দী করে রেখেছেন তার প্রথম স্ত্রীর পরিবারের লোকজন। প্রথম স্ত্রীর দাবি, তার স্বামী তাকে না জানিয়ে আরও দুই বিয়ে করেছেন। তবে তিনটি নয়, দুই বিয়ে করেছেন বলে স্বীকার করেছেন শিকলবন্দী ওই স্বামী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের একটি গ্রামের। একাধিক বিয়ের অভিযোগ এনে ২৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে পাঁচ দিন ধরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন যুবকের বাবা।

ওই ব্যক্তির প্রথম স্ত্রী বলেন, তিন বছর হলো আমার বিয়ে হয়েছে। আমি দুই বছর ধরে বাবার বাড়িতে থাকি। বাবার বাড়িতে আসার পর স্বামী খোঁজ নিতেন না। পরে জানতে পারি তিনি আরও দুটি বিয়ে করেছেন। এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে ঘরের লোকদের দিয়ে কৌশলে ডেকে এনে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছি। স্ত্রী হিসেবে নিজের অধিকার আদায় করার জন্য এই কাজ করেছি। বিয়ের সময় এক ভরি সোনার গয়না, এক লাখ টাকা এবং আসবাবপত্র যৌতুক দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের ছয় মাস না যেতেই সংসারে শুরু হয় নানা অশান্তি। স্বামীর আচার-আচরণে সন্দেহ জাগে তার। স্বামী অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। এ নিয়ে সালিসও হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। রাগ করে তিনি বাবার বাড়িতে এসে থাকছেন।

দুই বিয়ের কথা স্বীকার করে শিকলবন্দী স্বামী বলেন, বিয়ের তিন বছর ধরে কোনো সন্তান হয়নি তাদের। এ নিয়ে কলহ লেগেছিল। একপর্যায়ে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যান। গত এক-দেড় মাস আগে তিনি আরেকটি বিয়ে করেন। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ধরে এনে মারধর করেন এবং পায়ে শিকল দিয়ে আটকে রাখেন।

শিকলবন্দী যুবকের বাবা বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর ছেলেকে ধরে নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে তিনি গিয়ে দেখেন, ছেলেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি হাতিয়া থানায় গতকাল রোববার রাতে একটি অভিযোগ করেছেন।

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনিছুর রহমান বলেন, অভিযোগ দিয়েছে কি না, সেটি দেখতে হবে। বিষয়টি জাহাজমারা তদন্ত কেন্দ্র দেখবে। জাহাজমারা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ খোরশেদ আলম বলেন, তিনি লিখিত কোনো অভিযোগ পাননি। ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।-প্রথম আলো