জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের নীতিমালাটা দেখতে চাই। যেই নীতিমালার ভিত্তিতে তারা মার্কাকে অন্তর্ভুক্ত করে, আবার বাদ দিয়ে দেয়—এই নীতিমালাটা আমাদেরকে দিতে হবে। এই বিষয়ে আমাদের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে পিরোজপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিপির বরিশাল বিভাগে তিন দিনের সাংগঠনিক সফর উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন,এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু, বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও বরিশাল জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাঈদ মুসা। সভায় সভাপতিত্ব করেন পিরোজপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মশিউর রহমান।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, কোন নীতিমালার মধ্য দিয়ে শাপলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, কিংবা কোন নীতিমালার মধ্য দিয়ে বেগুনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে- তা স্পষ্ট করা হয়নি। এমনকি সম্প্রতি শাপলা কলিকে কোন নীতিমালার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেটাও স্পষ্ট নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার বলে আসছি, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নেয়, সেই সিদ্ধান্তগুলোর কোনো নীতিমালা নেই। তাদের সকালে ঘুম থেকে উঠে মনে হয়, মাইক মার্কা দিবে, আবার মোবাইল দেখার পর মনে হয় মোবাইল মার্কা দিবে, ট্রাইপড দেখলে ট্রাইপড মার্কা, ওই যে সূর্য দেখছে সেটারও মার্কাও আছে। ইসি এভাবে চলতে পারে না। এটি একটি সাংবিধানিক এবং জনগণের প্রতিষ্ঠান; তাই এটি নীতিমালার ভিত্তিতেই চলতে হবে।