জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া এই নতুন বাংলাদেশে, আমরা সেই সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি ও ভয়ের সংস্কৃতিকে চিরতরে বিদায় জানাতে বদ্ধপরিকর। কোনো ধর্মীয় উৎসবকে আর কখনোই রাজনৈতিক কূটচালের শিকার হতে দেওয়া হবে না। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গতকাল থেকে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজার উৎসব। আপনারা জানেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে এক আতঙ্ক ও উদ্বেগের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। আমরা দুঃখের সাথে দেখেছি, রাজনৈতিক কূটচালের অংশ হিসেবে হিন্দুদের বারবার রাজনৈতিক বলির শিকার করা হয়েছে। শাসকদলের আশ্রয়ে থাকা দুষ্কৃতকারীরা বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে হামলার অপচেষ্টা করে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির ঘৃণ্য খেলায় মেতেছিল। এর ফলস্বরূপ, উৎসবের আনন্দ বদলে গিয়েছিল নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্কে।
তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া এই নতুন বাংলাদেশে, আমরা সেই সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি ও ভয়ের সংস্কৃতিকে চিরতরে বিদায় জানাতে বদ্ধপরিকর। কোনো ধর্মীয় উৎসবকে আর কখনোই রাজনৈতিক কূটচালের শিকার হতে দেওয়া হবে না। এই মুহূর্তে, আমি সরকার এবং প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই, আপনারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। প্রতিটি পূজামণ্ডপ, প্রতিটি ঘর এবং প্রত্যেকটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী নাগরিক যেন নির্বিঘ্নে ও নিশ্চিন্তে এই উৎসব সম্পন্ন করতে পারেন। আমরা কঠোরভাবে নিশ্চিত করব, অতীতের কোনো অপচেষ্টা যেন এই সময়ে পুনরাবৃত্তি না হয়।’
এনসিপির মুখ্য সংগঠক বলেন, দেশের সব নাগরিক, সব সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের অনুরোধ করব—আপনারা প্রত্যেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতামূলক ও সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকুন। মনে রাখবেন, সম্প্রীতি বা পারস্পরিক সৌহার্দ্যই আমাদের শক্তি। আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রমাণ করি, নতুন বাংলাদেশ হলো নিরাপত্তা, সম্মান, এবং সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের বাংলাদেশ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।