রাজধানীর হাতিরঝিল থানার পশ্চিম চৌধুরীপাড়ার শেখ জনরুউদ্দিন দারুল ফুরকান মাদরাসার ছয়তলার বাথরুম থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মো. তুষার তানভীর (১২) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত তুষার ওই মাদরাসার হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করতো।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তুষার তানভীর চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ থানার গোসাইপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তার পরিবার বর্তমানে রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকায় বসবাস করে। নিহতের তিন ভাই ও দুই বোন রয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তুষারের পরিবারকে ফোন করে জানায়, সে বাথরুমে ঢুকে দীর্ঘ সময় ধরে বের হচ্ছে না। এরপর পরিবার ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের সহায়তায় বাথরুমের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তখন বাথরুমের গ্রিলের সঙ্গে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তুষারের মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।
নিহতের বাবা তোফাজ্জল হোসেন জানান, তার ছেলে মালিবাগ পশ্চিম চৌধুরীপাড়ার শেখ জনরুউদ্দিন দারুল ফুরকান মাদরাসায় হেফজ শাখায় পড়াশোনা করত। সকালে খবর পান ছেলেটি গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে গিয়ে দেখেন, ষষ্ঠ তলার বাথরুমে গ্রিলের সঙ্গে প্লাস্টিকের রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় প্যানের ওপর বসে আছে। পুলিশসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সকালে ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে মাদরাসার শিক্ষকরা খোঁজ করতে গিয়ে বাথরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এবং পরিবারকে খবর দেন। তবে কেন ফাঁস দিয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেন না।
হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফোয়াদ আহমেদ জানান, সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তুষারকে বাথরুমের গ্রিলের সঙ্গে গলায় রশি প্যাঁচানো এবং টয়লেটের প্যানের ওপর বসা অবস্থায় পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।