ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ | ৪ চৈত্র ১৪৩১ | ১৭ রমজান ১৪৪৬

শনিবার বইমেলা উদ্বোধন করবেন ড. ইউনূস

শনিবার বইমেলা উদ্বোধন করবেন ড. ইউনূস

সংগৃহীত ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। মেলার এবারের প্রতিবাদ্য–‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’। বাংলা একাডেমির আয়োজনে মাসব্যাপী এবারের বইমেলার উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির আব্দুল করীম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মেলা কমিটির সদস্য সচিব সরকার আমিন।

তিনি জানান, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যতীত)।

তিনি জানান, এবারের বইমেলার বিন্যাস আগের মতোই থাকছে, তবে মেট্রোরেলের কারণে প্রবেশ ও বাহিরপথে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। চারটি প্রবেশপথ থাকবে–টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট। খাবারের স্টলগুলো সুনিয়ন্ত্রিতভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে। নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবা আগের মতোই থাকবে। ৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যতীত প্রতি শুক্র ও শনিবার থাকবে ‘শিশুপ্রহর’। শিশু-কিশোরদের জন্য থাকছে চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতা।

বইমেলায় অংশ নেয়া প্রকাশনা সংস্থাগুলো ২৫ শতাংশ ছাড়ে বই বিক্রি করবে। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

প্রকাশিত বইয়ের গুণগতমানের বিচারে দেয়া হবে বিভিন্ন পুরস্কার। এর মধ্যে রয়েছে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’, ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’, ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’।

এবারের মেলায় ৭০৮টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিচ্ছে, যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে থাকবে ১৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৬০৯টি। এছাড়া, থাকবে ৩৭টি প্যাভিলিয়ন ও ১৩০টি লিটল ম্যাগাজিন স্টল।