ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাইজদীতে নবজাতকসহ মায়ের মৃত্যু: হাসপাতাল ভাংচুর

মাইজদীতে নবজাতকসহ মায়ের মৃত্যু: হাসপাতাল ভাংচুর

গ্লোবাল টিভি ছবি

আবু রায়হান সরকার: নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে সিজারে ‘ভুল চিকিৎসায়’ মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ তুলে স্বজন ও এলাকাবাসী মাইজদী আধুনিক হসপিটালে ভাংচুর করেছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভুল চিকিৎসার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

শনিবার বিকেলে নবজাতকসহ মা মারা যান। পরে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী হসপিটালে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। 

শারমিন আক্তার সীমা (২১) বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের লন্ডন মার্কেট এলাকার জহির উদ্দিনের স্ত্রী এবং নোয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ সওদাগর বাড়ির মো. হারুনের মেয়ে।

নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, শুক্রবার বেলা ২টার দিকে মাইজদী আধুনিক হসপিটালে আশিকা কবির নামে ঢাকা থেকে আসা এক চিকিৎসক সীমার সিজার করেন। এ সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসক বিষয়টি গোপন রাখেন। পরে  রাত সাড়ে ৯টার দিকে রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা ও বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে নবজাতক মারা যায়।

মাইজদী আধুনিক হসপিটালের চেয়ারম্যান আব্দুল বারী আলমগীর ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ নাকচ করে বলেন, রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়। কোনো চিকিৎসকই ইচ্ছাকৃত কাউকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় না। এ নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বসার চেষ্টা করলেও শতাধিক লোক হাসপাতালে ভাংচুর চালায়।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুসরাত নাঈমা জাবিনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।