ছবি : সংগৃহীত
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নারী পর্যটকদের জন্য ‘বিশেষ এলাকা’ চালু করা হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় এই এলাকা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
‘বিশেষ এলাকায়’ নারী পর্যটকদের জন্য রয়েছে আলাদা ড্রেসিং রুম ও লকার রুম। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা নারী পর্যটকরা স্বেচ্ছায় ওই “বিশেষ এলাকায়” প্রবেশ করতে পারবেন। এজন্য ১০০ থেকে ১৫০ গজ এলাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, কক্সবাজার পর্যটন এলাকা নারী-বান্ধব করার জন্য সৈকতে নারীদের জন্য ‘বিশেষ এলাকা’ ঘোষণা করা হল। এতে নারী পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে সৈকত ভ্রমণ করতে পারবেন। সৈকতে নারীদের নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের বড় একটি অংশে নারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের মধ্যেও নারী পুলিশ রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, হোটেল বা গেস্ট হাউসে যেন পর্যটকরা নিরাপদে থাকতে পারেন, এ ব্যাপারেও তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। মালিক ও পরিচালকদের সঙ্গে তারা বৈঠক করেছেন। হোটেল কর্মীদের এসব ব্যাপারে প্রশিক্ষণ ও সচেতন হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন (পর্যটন সেল) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাত দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো—
১) সকল আবাসিক হোটেলে রুম বুকিং করার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন ও জমা দিতে হবে।
২) আবাসিক হোটেলগুলোয় একটি অভিন্ন আদর্শ কর্মপদ্ধতি প্রণয়ন করতে হবে।
৩) প্রতিটি হোটেলে কক্ষ সংখ্যা, মূল্য তালিকা ও খালি কক্ষের সংখ্যা, রেস্তোরাঁয় খাবারের মূল্য তালিকা প্রকাশ্যে প্রদর্শন করতে হবে।
৪) প্রতিটি আবাসিক হোটেলে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করতে অথবা জোরদার করতে হবে।
৫) শহর এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের কক্ষ ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৬) হোটেল-মোটেল বা গেস্ট হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষিত হতে হবে।
৭) সকল হোটেল-রেস্তোরাঁর নিবন্ধন করতে হবে।
এমএস