ছবি: সংগৃহীত
নীল আকাশে সাদা মেঘের পাল তুলে
ভেসে যাওয়া দেখে মনে পড়ল আজ,
অনেক বছর আগে এমনি করে হঠাৎ ভেসে
এসেছিলে জীবনে আমার করতে বুঝি সর্বনাস।
কাশবনের ধারে হাত ধরে হেঁটে যেতে যেতে,
মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে বলেছিলে কি শুভ্র তুমি।
কাশফুলও ম্লান লাগে তোমার শুভ্রতার কাছে,
সেকথা ভাবলে বড্ড হাসি পায় আজ জানো।
আজ অনেক বছর পর নুইয়ে পরা কাশফুল দেখে
মনটাও কেমন নুইয়ে পরেছে ভালবাসার স্মৃতির ভারে।
ভাবছি ভুলে যেতে পেরেছো তো তুমি?
বুকের বাম পাশে কি ব্যাথা করেনা একটুও।
শুভ্র কাশফুল যেমন হারিয়েছে জৌলুস,
তোমার চোখেও তেমনি আজ আমি।
আসলে তোমার চোখের ভাঁজে ভাঁজে
বাসা বেঁধেছে নতুন কোন হেমন্তের ফুল।
আর আমি এই বিদায়ী শরৎ এ খুঁজে ফিরি
আগের তোমাকে, কি অমিল দুজনের।
ভুলে গেছো সব কত সহজে তুমি
ভাবলে অবাক না হয়ে পারিনা।
এখনও নদীর শ্রোত বয়ে যায় আগের মতই
সব জলগুলো হারিয়ে যায় কোথায় যেন।
আবার ফিরেও আসে কূল কূল রবে
কিন্তু তুমি আর আসোনা আমি আজও কান পেতে রই।
দূরে ওই সবুজ ধানক্ষেতের খুঁটির উপর
একটা পানকৌড়ি পাখি দাঁড়িয়ে,
উদাস নয়নে কি যেন খুঁজে চলছে
সে কি আমারি মত হারিয়েছে প্রিয়জন?
আবার শরৎ আসবে বার বার বহুবার,
পাশে গা ঘেঁসে দাঁড়াবে না কেউ আর।
শুভ্র সুবাতাস বয়ে আনবেনা কেউ যেন,
অজানা অনুভূতির শিহরন জাগাবেনা অলক্ষ্যে আমার।
হে বিদায়ী শরৎ তোমার নিরবে চলে যাওয়ায়
এলোমেলো ঝড় যেন না উঠে কারো জীবনে।
তুমি বার বার ফিরে এসো নতুন বারতা নিয়ে,
আবার নতুন স্বপ্নে বিভোর করে দিও দুটি চোখ।