ঢাকা, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ পৌষ ১৪৩২ | ১০ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম

সুজনের এত দাদাগিরি কেন প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

সুজনের এত দাদাগিরি কেন প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের পরামর্শ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। সংগঠনটির পরামর্শ গণমাধ্যমে ‘ফলাও করে’ প্রকাশ নিয়েও তার প্রশ্ন রয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটির সুপারিশকৃত ১০ জনের নাম প্রকাশের জন্য বেসরকারি সংস্থা সুজনের দাবির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সুজন এরা কারা? সুজন একটি এনজিও, এই এনজিও’র সারা দেশে শাখাও নাই, প্রশাখাও নাই। এরা ব্যক্তি বিশেষ নিয়ে একটা এনজিও। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তারা তহবিল সংগ্রহ করে চলে, এমনকি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকেও তারা একসময় তহবিল নিয়েছিল। যেটি নিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সুজন যেভাবে পরামর্শ দিচ্ছে, আর গণমাধ্যমেও কেন এটিকে ফলাও করে প্রকাশ করা হয় সেটিও আমার প্রশ্ন?’

তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটি যে দশজন সিলেক্ট করবে আইন বলে এটি তাদের ক্ষমতা। সেটি প্রকাশ করবে কি করবে না একান্ত সার্চ কমিটির ব্যাপার। সেটির জন্য সুজন বলার কে? সুজন কি নির্বাচন করে? নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুজন কি এখানে স্টেকহোল্ডার? তা তো নয়। এখানে যারা নির্বাচন করেন তারাই হচ্ছে স্টেক হোল্ডার। সুজনের এত দাদাগিরি কেন সেটিই আমার বড় প্রশ্ন।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘যে-ই স্বচ্ছতার ভিত্তিতে এবং যেভাবে অংশগ্রহণমূলকভাবে এবার নির্বাচন কমিশন গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, আইন বলে সেটি অভাবনীয়। ৭৫ বছরের গণতন্ত্রের দেশ ভারতসহ কয়েকশ’ বছরের পুরোনো গণতন্ত্রের দেশেও এভাবে করা হয় না। এখানে সবার সঙ্গে বসা হয়েছে। রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকদের বিভিন্ন ফোরাম, সুজনসহ যারা টকশো করেন তাদের সঙ্গেও বসা হয়েছে। বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবীরাও সেখানে গেছেন। এরপর যে নামগুলো জমা পড়েছে সেগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।’

এমএস