ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ | ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলামপুরে মেয়রের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের সংবাদ সম্মেলন

ইসলামপুরে মেয়রের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের সংবাদ সম্মেলন

ছবি: গ্লোবাল টিভি

ফিরোজ শাহ, জামালপুর: জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের শেখের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌরসভার কাউন্সিলররা। 

রবিবার ১১ জন কাউন্সিলরের আয়োজনে থানা মোড় বটতলা চত্বরে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহন মিয়া  লিখিত বক্তব্যে বলেন, মেয়র আব্দুল কাদের শেখ নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতা অপব্যবহার করে ভাতিজা মিন্টু ও ভাগিনা লেবুসহ ৩২ জনকে পৌরসভার বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছেন। ইসলামপুর বাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন (বি.জে.সি) গোডাউন, কাচ্চা প্রেসসহ মালামাল লুটপাট, জমি দখল করে অস্থায়ী  দোকান ঘর নির্মাণ করে প্রতিমাসে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করছেন। মাস্টার রোলে নিয়োগকৃত কর্মচারী রাসেলকে পৌরসভার ঠিকাদারী লাইসেন্স দিয়ে মেয়র নিজেই পৌরসভার ঠিকাদারী করেন। 

মোহন মিয়া বলেন, সাত দিন পূর্বে নোটিশে প্রতি মাসের পৌর পরিষদের সভা হওয়ার কথা থাকলেও তিনি কোন নোটিশ প্রদান না করে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইন্সপেক্টর কে দিয়ে ফোনে ডেকে নিয়ে নোটিশ খাতা ও রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এছাড়াও তিনি ইচ্ছামতো নিয়ম বর্হিভূত অনেক বিষয়ে রেজুলেশন লিখেন। রেজাউলেশনের কপি কাউন্সিলরবৃন্দরা চাইলেও কোন কপি তিনি দেন না। এছাড়াও উন্নয়ন মূলক কাজে ঠিকাদারদের কাছে বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করার অভিযোগ রয়েছে।

প্যানেল মেয়র দেলোয়ার হোসেন লেবু বলেন, যদি মেয়র কাদের সেখের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে ৯ জন কাউন্সিল ও ২জন মহিলা কাউন্সিলর একসাথে পদত্যাগ করবো। ইতিপূর্বে আমরা ১১ জন কাউন্সিল কাউন্সিলর অভিযোগ সমূহ সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সচিব স্থানীয় সরকার ও পল্লী সমবায় মন্ত্রনালয় ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি।

এ সময় পৌরসভার কাউন্সিলর জুলহাস মন্ডল, শফিকুল ইসলাম,খাজা আব্দুল্লাহ,মনজুরুল হক,ছামিউল হক,ফজলুল হক,পলাশ মিয়া,মাজেদা খাতুন, রত্না বেগমসহ সাংবাদিকবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এএইচ