আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির কাছ থেকে নমিনেশন নেওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বিগত দিনের আন্দোলন-সংগ্রাম থাকা দলগুলো। বড় দল হিসেবে বিএনপিও এসব দলের কাছ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের তালিকা চেয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে বিএনপির কাছে একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে। ১২ দলীয় জোটের অধিকাংশ দল একসময় ২০দলীয় জোটের শরিক ছিল। ২০২২ সালে ২০ দলীয় জোট ভেঙে যাওয়ার পর জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে ১২টি দল জোট করে। ২০২২ সাল থেকেই এই জোট বিএনপির সঙ্গে এক হয়ে মাঠের আন্দোলন সংগ্রামে ছিল।
এই জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আমরা বহু বছর ধরে বিএনপির সঙ্গে আছি। ২০ দলীয় জোট ভেঙে যাওয়ার পর কিছু দল একলা চলো নীতিতে থাকলেও আমরা ১২টি দল এক হয়ে বিএনপির সঙ্গে ছিলাম। এখনো বিএনপির সঙ্গে আছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের নিয়ে আগামীতে সরকার গঠন করবেন- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সেজন্য আমরা বিএনপির সঙ্গে আছি। বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনি জোটে থাকার জন্য আমাদের জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। আমরা এরই মধ্যে তালিকা দিয়েছি। এখন কয়টি আসনে মনোনয়ন দেবে সেটা তাদের ব্যাপার।
১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে বিএনপিকে যে ২১ জনের নাম দেওয়া হয়েছে-
জানা গেছে, এই ২১ জনের মধ্যে অন্তত তিনটি আসন ১২ দলীয় জোটের নেতাদের ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি। সেক্ষেত্রে পিরোজপু-১ আসনে সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম (২০১৮ সালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন) ও কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।