গ্লোবাল টিভি ছবি
দিদারুল আলম জিসান, উখিয়া টেকনাফ (কক্সবাজার) : নিজ দেশ মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত হয়ে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত জীবনের ৮ বছর অতিক্রম করছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। দ্বিতীয়বারের মতো তাদের দুঃখ গাঁথা শুনতে এবং চলমান জীবন পরিদর্শনে এসেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তার সঙ্গে ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২০১৭ সালে রাখাইনে ঘটে যাওয়া এবং আশ্রিত জীবনে চলতে থাকা দুঃখ গাঁথায় ভারাক্রান্ত রোহিঙ্গাদের মন। কিন্তু সেই বেদনার্ত মন আনন্দ উচ্ছ্বাসে ভরে উঠেছে জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাধারণ রোহিঙ্গাদের ইফতার আয়োজনে। আশ্রয় ক্যাম্পে বাস্তুচ্যুতদের সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব হাসিমুখে ইফতারে যোগ দিয়ে যেন প্রমাণ করেছেন, রোহিঙ্গারাও বিশ্ব অধিবাসী।
রোহিঙ্গা নেতা ডা. যোবায়ের বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার পর এবার দ্বিতীয়বারের মতো আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে এসেছেন। তিনি ক্যাম্পে পৌঁছানোর পর শিডিউল মতো নানা স্থান পরিদর্শন করেন। তিনি রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির সঙ্গে জীবনমান নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। আমরা সেখানে সাম্প্রতিক রোহিঙ্গাদের খাবারের বিল কমানোসহ টেকসই প্রত্যাবাসনের দাবি জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছি। তিনিও আমাদের শিক্ষার্থী ও কমিউনিটি নেতাদের আশ্বস্ত করেন।
বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার শহর হয়ে সড়কপথে জাতিসংঘ মহাসচিব উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান। দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি ক্যাম্পে পৌঁছান। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত নানান কর্মসূচিতে ব্যস্ত সময় পার করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। ইফতার পার্টিতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ্জামানসহ পদস্থরা উপস্থিত ছিলেন।