ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২ | ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ক্যান্টনমেন্টের নাম পটুয়াখালী সেনানিবাস করার দাবি

ক্যান্টনমেন্টের নাম পটুয়াখালী সেনানিবাস করার দাবি

সংগৃহীত ছবি

এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর লেবুখালীতে অবস্থিত সেনানিবাসের নাম  ‘পটুয়াখালী সেনানিবাস‘ করার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে স্থানীয়রা। শুক্রবার লেবুখালীর পাগলার মোড় সংলগ্ন পায়রা সেতুর টোলপ্লাজার সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও দুমকি উন্নয়ন ফোরাম।

এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আন নাহিয়ান, দুমকি উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, সেনানিবাসের জমিদাতা রশিদ গাজী, আব্দুস সালাম খান, সুমন শরিফ , বাবুল শরিফ, ব্যবসায়ী নেতা দেলোয়ার হোসেন দুলাল ও প্রকৌশলী কামাল হোসেন।

এসময় বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালের ৮  ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালীর লেবুখালীতে ১৫৩২ একর জমির ওপর দেশের ৩১ তম সেনানিবাস উদ্বোধন করা হয়। এসময় এর নাম দেয়া হয় শেখ হাসিনা সেনানিবাস। স্থানীয় নামে নামকরণ না করে একজন ব্যক্তির নামে নামকরণ করায় তখন পটুয়াখালীর সর্বস্তরের মানুষ সংক্ষুব্ধ হয়েছিল, সাধ্য অনুযায়ী প্রতিবাদও করেছিল।

এদিকে  গত ১০ মার্চ পতিত স্বৈরাচর শেখ হাসিনার নাম পরিবর্তন করে সেনানিবাসের নতুন নামকরণ করা হয় ‘বরিশাল সেনানিবাস’। পটুয়াখালী জেলার মধ্যে অবস্থিত এ ক্যান্টনমেন্টের নাম‘পটুয়াখালী সেনানিবাস’ না করে ‘বরিশাল সেনানিবাস’ করায় পটুয়াখালীবাসী বৈষম্যের শিকার। সেনানিবাসের অবস্থান পটুয়াখালীর লেবুখালী ইউনিয়নে। উক্ত জমির  দাগ, খতিয়ান, মৌজা সব কাগজপত্রে লেবুখালী, পটুয়াখালী লেখা। সেনানিবাস নির্মাণের সময় জমিদান করেছিল পটুয়াখালীর মানুষ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাম পরিবর্তন করে পটুয়াখালী সেনানিবাস নামকরনের দাবী জানান বক্তারা।  দাবী আদায় না হলে আগামী ২৬ শে মার্চ বিকেল ৩টায় পটুয়াখালী শিল্পকলা একাডেমিতে নাগরিক সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলেও জানানো হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং বুধবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।