ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ | ৪ চৈত্র ১৪৩১ | ১৭ রমজান ১৪৪৬

ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো ছাত্র-জনতা

ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো ছাত্র-জনতা

সংগৃহীত ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া রাজধানীর ৩২ নম্বর ভেঙে দেয়ার কাজ এখনও চলছে। বৃহস্পতিবার সকালেও এই বাড়ি এক্সক্যাভেটর দিয়ে ভাঙতে দেখা যায়। সামনের অংশ প্রায় পুরোটাই গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে ।

এরপর ধানমণ্ডির সুধাসদন থেকে শুরু করে দেশজুড়ে শেখ মুজিব ও হাসিনা ও তার স্বজনদের নামের বিভিন্ন স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে। যা এখনো চলছে।

ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত আটটার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির সামনে সমবেত হয়। প্রথমে ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তারা। পরে বাড়ির বিভিন্ন অংশে হামলা চালিয়ে ম্যুরাল ভেঙে ফেলে এবং ভবনের দেয়ালে লাল কালি দিয়ে ‘স্বৈরাচার সাবধান’ লেখে।

ভোরে ফজরের নামাজের পরও জনতার ঢল বাড়তে থাকে। সকালে ক্রেন ও এক্সকাভেটরের সাহায্যে ভবনটির বিভিন্ন অংশ ভাঙা হয়। একই সময় শেখ হাসিনার আরেক বাসভবন সুধা সদনেও আগুন দেওয়া হয়।

ধানমন্ডি ৩২-এর ঘটনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়। রাত দেড়টার দিকে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে নতুন নামকরণ করা হয় ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল’।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, যারা সহপাঠীদের উপর হামলা চালিয়েছে, তাদের কোনো চিহ্ন ক্যাম্পাসে রাখা হবে না। একই সঙ্গে বিজয় একাত্তর হল ও অমর একুশে হলের ফলক থেকে শেখ হাসিনার নাম মুছে ফেলা হয়।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সেই অভ্যুত্থানের ছয় মাস পূর্তিতে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্টরা ‘বুলডোজার মিছিল’ ও ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচির ডাক দেন।

সন্ধ্যার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়ার ডাক দেয়া হয়।