সংগৃহীত ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ ১৭ বছর কারাবাসের পর মুক্ত হয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। সব মামলায় খালাস পাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ২টার পর তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন।
কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স-ঢাকা বিভাগ) মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
লুৎফুজ্জামান বাবরের সঙ্গে আরও পাঁচজন মুক্তি পেয়েছেন। তারা হলেন- কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার (অব.) সাহাবুদ্দিন আহম্মদ, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে এনএসআইয়ের সাবেক ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খান, সিইউএফএলের সাবেক এমডি মহসিন উদ্দিন তালুকদার, এনএসআই ডিজি ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডাইরেক্টর মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী এবং কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন মেজর (অব.) এম লিয়াকত হোসেন।
গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা পৃথক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দায় থেকে খালাস পান লুৎফুজ্জামান বাবর। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে। এ রায়ের মাধ্যমে বাবর তার বিরুদ্ধে করা সব মামলা থেকে খালাস পান। ফলে বাবরের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানানো হয়।
বাবরের মুক্তির খবরে হাজার হাজার লোকজন ভিড় করেন কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে।
জেল থেকে বের হয়েূ বাবর সরাসরি শহীদ জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে শেরে বাংলা নগরে যান।
২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয় এবং একটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকার পতন হওয়ার পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান বাবর।
এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের দণ্ড থেকে এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পান তিনি। ২১ আগস্টের মামলায়ও বাবরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারক আদালত।