ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১ | ২০ রজব ১৪৪৬

জনতার হাতে ‘আটক’ মুন্নী সাহা, ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

জনতার হাতে ‘আটক’ মুন্নী সাহা, ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

সংগৃহীত ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কারওয়ান বাজারে শনিবার রাতে সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে কিছু লোক ঘেরাও করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নেয়া হয়। তবে ‘প্যানিক অ্যাটাকে’ অসুস্থ থাকায় জামিনের শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, কারওয়ান বাজারে লোকজন মুন্নী সাহাকে ঘেরাও করেছিল। তখন তিনি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে ডিবিতে আনা হয়। যেহেতু তার নামে চারটি মামলা আছে, সেগুলোতে জামিনের শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

তবে এর আগে, তেজগাঁও থানার ওসি মো. মোবারক হোসেন জানান, সাংবাদিক মুন্নী সাহা রাত ১০টার দিকে কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারের অফিস থেকে বের হওয়ার পর কিছু লোক তাকে ঘিরে ধরেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় গ্রেফতার করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার পরে রাজধানীর কাওরান বাজারে অফিস থেকে বের হয়ে সবজি কিনতে যান মুন্নী সাহা। জনতা টাওয়ারের সামনে জনতার তোপের মুখে পড়েন। বেশ কিছুক্ষণ তাকে ঘিরে রাখা হয়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়। তাদের কাছ থেকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয় মুন্নি সাহাকে। তার বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলার মধ্যে যে কোনো একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হতে পারে বলে এমন কথা জানিয়েছিল তেজগাঁও থানার ওসি। এমনকি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলেও জানানো হয়। কিন্তু ডিবি কার্যালয়ে যাওয়ার পর তার প্যানিক অ্যাটাক হওয়াসহ অসুস্থতা কারণ হিসেবে দেখা দেয়। তখন ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ ধারায় জামিন নেওয়ার শর্তসহ নানা দিক বিবেচনায় রাতেই তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।

মুন্নী সাহা ‘এক টাকার খবর’ নামের একটি অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক। গত ৬ অক্টোবর মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চায় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে মুন্নী সাহার আমানত, ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, এক্সচেঞ্জ, লকার ও অফশোর ব্যাংকিংয়ের তথ্য চাওয়া হয়।