ছবি: সংগৃহীত
মোঃ ময়নুল হোসাইন, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ অনিয়ম, দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পায়। এই সব অভিযোগ ওঠার পর দুদক নড়েচড়ে বসেছে।
পিআইও আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় দুদকের পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে তার সম্পদের হিসাব চেয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। পিআইও আবুল কালাম আজাদ গত ৩. ৭ .২৪ তারিখে তার সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবি করছে, এই দুর্নীতিবাজ পিআইও অবৈধভাবে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তিনি বিলাসি জীবন যাবন করেন। তৎকালীন সরকার দলীয় লোকদের আর্শীবাদপুষ্ট হয়ে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করতেন। নিজের ক্ষমতায় কর্মক্ষেত্রে গড়ে তুলেছেন একচ্ছত্র আধিপত্য। সরকারি বিধান অনুযায়ী কর্মকর্তাদের স্টেশনে বসবাসের নিয়ম থাকলেও তিনি তা না করে পাবনায় তার আলিশান বাড়িতে বসবাস করেন। এছাড়াও উল্লাপাড়া থেকে পাবনা যাতায়াত করেন তার দামি ব্যান্ডের গাড়িতে। তিনি নিয়মিত অফিস না করায় সরকারি সেবা নিতে আশা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
এ বিষয়ে আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে একাধিক বার ফেন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পনর্বাবাসন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, সম্পদের হিসাব চাওয়ার বিষয়ে আমার জানা নেই, তবে তিনি যদি সঠিক সময়ে অফিসে না আসেন, তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খাইরুল হক বলেন, উল্লাপাড়ার পিআইও আবুল কালাম আজাদের সম্পদের হিসাব ঘতিয়ে দেখছে দুদকের অনুসন্ধানী দল।