ছবি: গ্লোবাল টিভি
কূটনৈতিক প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরে ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এই তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী ৮ থেকে ১১ জুলাই চীন সফর করবেন। আগামীকাল সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ১১টায় হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রয়ানা দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিস্তা বিষয়ে চীন যদি আগ্রহ দেখায় তাহলে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, তিস্তা ভারত ও বাংলাদেশ, দুই দেশের যৌথ নদী। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ভারত আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা এখন সেটি পর্যালোচনা করছি।
চীন থেকে বাজেট সহায়তা নেয়া হবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এই সফরে চীনের সাথে ইকোনমিক কোঅপারেশন নিয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি হবে। এই উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে আলোচনা হবে।
চীনকে বাংলাদেশ অফসোর ব্যাংকিংয়ের প্রস্তাব দেবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অফসোর ব্যাংকিং ওপেন ফর অল। যে কোনো দেশ যদি চায়, আমাদের সেন্ট্রাল ব্যাংকে চাইলে টাকা রাখতে পারে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অনেক দেশ টাকা রাখতে পারে। তবে অফসোর ব্যাংকিং কিছুটা ভিন্ন বিষয়।
মোংলা বন্দর উন্নয়নের বিষয়ে চীনের সাথে সমঝোতা হয়েছিল, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব চীনকে দেয়া হবে কি-না, প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মোংলা বন্দর উন্নয়নের বিষয়ে চীনের সাথে আমরা আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। এই সফরে আশা করছি বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হবে। চীনের সাথে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। দেশটি থেকে আমরা করছি বেশি, রপ্তানি কম হয়। আমরা পরিকল্পনা করছি আমাদের পণ্য রপ্তানি বাড়াতে।
তিনি জানান, ১১ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী চীন ত্যাগ করবেন এবং দুপুর ২টায় ঢাকা অবতরণ করবেন।