ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ | ৪ চৈত্র ১৪৩১ | ১৭ রমজান ১৪৪৬

‘সাত দিন থেকে কর্মবিরতি পালন করছি, একটি ফোন কল পর্যন্ত পাইনি’

‘সাত দিন থেকে কর্মবিরতি পালন করছি, একটি ফোন কল পর্যন্ত পাইনি’

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা ৭ দিন থেকে কর্মবিরতি পালন করছি, তবু রাষ্ট্র থেকে একটি ফোন কল পর্যন্ত করা হয়নি। এটি শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়ার চেষ্টা।’ 

আজ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে কর্মবিরতি পালনকালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এ কথা বলেন।

গত ১ জুলাই থেকে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ চালুর প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এই আন্দোলনে রয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। 

ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘সরকারের মধ্য ছোট একটি গ্রুপ রয়েছে, যারা ২০১৫ সালে ষড়যন্ত্র করেছে। সরকারের ভেতর থেকে রাজতন্ত্র চালাচ্ছে। ২০২৪ সালে তারা একই কায়দায় শিক্ষকদের প্রত্যয় স্কিম চাপিয়ে দিয়েছে। সুপারগ্রেড প্রণয়ন নতুন কোনো দাবি নয়। ২০১৫ সালে এ বিষয়ে কমিটি হয়েছিল। অথচ তার কোনো অগ্রগতি হয়নি।’ 

মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বৈঠকটি হয়নি। তবে আমার সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীসহ অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। অচিরেই আমরা আলোচনা আশা করছি এবং তা হতে হবে।’

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, বিদেশের বিভিন্ন সুবিধা ছেড়ে এই পেশায় মেধাবীরা আসেন। তারপর বলা হবে ‘না খেয়ে থাকেন’। শিক্ষকদের যে বেতন, তা থেকে ৫ হাজার টাকা কেটে রাখার পর তারা সংসার চালাবে কীভাবে? এই প্রত্যয় স্কিম আমাদের ‘শূন্য সুবিধা’ দিয়েছে। 

এ সময় শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।