ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির নামে চুরি ও মারপিটের মামলা হয়েছে। গত ২৩ জুন মামলাটি করা হয়েছে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, এই মামলার দ্বিতীয় আসামি ববি, প্রথম আসামি মির্জা আবুল বাশার (৩৪)। তবে তারাও পরে পাল্টা মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ১৩/১৬৪।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করিয়া সাধারণ ও গুরুতর জখম, চুরি, ক্ষতিসাধন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধ। এ ঘটনায় ওয়াইএন সেন্টারের ক্ষতির পরিমাণ দেড় লাখ টাকা ও চোরাই মূল্য এক লাখ টাকা, যা এখনো উদ্ধার হয়নি। মামলাটির বাদী ছিলেন মুহাম্মাদ সাকিব উদ্দোজা। তিনি ওয়াইএন সেন্টারের এজিএম।
তিনি জানান, তাদের কাছ থেকে রেস্টুরেন্ট ভাড়া নেন আমান নামের একজন। এটার অবস্থান গুলশান ২–এর ১১৩ নম্বর সড়কে। আমান অর্থনৈতিকভাবে পুষিয়ে উঠতে পারছিলেন না। পরে ব্যবসায় তৃতীয় পক্ষ হিসেবে যুক্ত করেন আবুল বাশার ও চিত্রনায়িকা ববিকে। রেস্টুরেন্টের জিনিসপত্র তারা কিনে নিয়েছেন। সেভাবেই চুক্তি করেন বলে জানান সাকিব। ব্যবসার অংশ হিসেবে চুক্তিমতো আমানকে ৫৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। ববি ও বাশার প্রথমে ১৫ লাখ, পরে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। কিন্তু দুটি চেকই ডিজঅনার হয়। এই টাকা চাওয়া নিয়েই আমান ও বাশার–ববির সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
সাকিব উদ্দোজা আরও বলেন, আমান একসময় আমাদের তৃতীয় পক্ষের কাছে ভাড়া নিতে বলেন। কয়েক মাসের ভাড়া বকেয়া থাকলেও মে মাসের ভাড়া দেন তারা। পরে তারা একই রসিদ দিয়ে আরও একটি বিল তৈরি করেন। সেখানে লেখা ছিল, ওয়াইএনসি কর্তৃপক্ষ আরও সাত লাখ টাকা বুঝে পেয়েছে। যা ছিল মিথ্যা। পরে আমরা বুঝতে পারি যে বাশার লোকটি অসৎ। তাকে আগের ভাড়ার নকল রসিদের কথা বললে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন।আমাদের লোকেদের মারতেও আসেন। তখন আমাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। বুঝতে পারি যে পেশিশক্তি খাটিয়ে রেস্টুরেন্ট দখল করতে চান বাশার। আমরা প্রথমে থানায় অভিযোগ করি ও ১৩ জুন জিডি করি।
তিনি বলেন, ‘ভুবন’ নামের সেই রেস্টুরেন্টের মালিক আমান একসময় বাশার ও ববির রেস্টুরেন্টে আসা বন্ধ করার জন্য ২৩ জুন রেস্টুরেন্ট তালাবন্ধ করেন, যা দেখে বাশার রেগে যান। বাশার উত্তেজিত হয়ে গেলে জনতার হাতে গেটের বাইরে পিটুনিও খান। মার খেয়ে চলে যান। পরে তিনি আবার এসে গাড়ি নিয়ে ফটক ভাঙেন। ভেতরে এসে ম্যানেজার জয়নালসহ আমাদের লোকদের ভয়ভীতি দেখান। অনেকের গায়েও হাত দেন। আমার নাকে ঘুষি মারেন। আমরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা নিই। পরে আমরা মামলা করি। ওরাও মামলা করেছে।
তবে, এ ঘটনা নিয়ে ববির অপারেশন পার্টনার (সহযোগী) আবুল বাশার বলেন, রেস্টুরেন্ট করার জন্য আমরা চুক্তিবদ্ধ হই। মূলত এটা ববির রেস্টুরেন্ট হওয়ার কথা ছিল। আমি ছিলাম অপারেশন পার্টনার। ববির পক্ষ থেকে কাজ করতাম। মে মাসের ভাড়াও দিয়েছি। আমাদের ইনভেস্টমেন্ট ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার মতো হয়ে গেছে। যখন ববি কোনো রেস্টুরেন্ট করবে, সেটার কাগজপত্র নিয়ে অনেকের আগ্রহ থাকবে। সেই কারণেই আমরা মালিকপক্ষের কাছে পরে ভবনের বৈধতার কাগজ চাই। তারা ঢিলেমি করেন। এখান থেকেই ঝামেলা শুরু হয়।
বাশার জানান, তারা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছেন, ভবনের কোনো কাগজ নেই। এই জন্য রেস্টুরেন্টের লাইসেন্স করাও কঠিন হয়ে যায়।