ঢাকা, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১ | ১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিধ্বস্ত কপ্টারে ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও আরো যারা ছিলেন

বিধ্বস্ত কপ্টারে ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও আরো যারা ছিলেন

ছবি: সংগৃহীত

গ্লোবাল ডেস্ক: পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ভারজাকান ও জোলফা শহরের মধ্যে অবস্থিত ডিজমার বনে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে রাইসির পাশাপাশি ইরানের বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন।

সোমবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্ট রায়িসি ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রাহমাতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।

হেলিকপ্টারের মোট ৯ আরোহীর বাকি পাঁচ আরোহী হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইয়্যেদ মেহদি মুসাভি (প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষী), আনসারুল মাহদি বাহিনীর এক সদস্য,পাইলট, কো-পাইলট, ক্রু (যাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি)।

এদিকে ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতিসহ হেলিকপ্টারের অন্যান্য আরোহীরা নিহত হয়েছেন।

আজারবাইজান সীমান্তে ইরানের উত্তরাঞ্চলে রোববার পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে ঠিক কী কারণে এবং কী ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি।

প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজনে একটি বাধের উদ্ধোধন করতে গিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। সেখান থেকে ফেরার পথে দেশটির উত্তরাঞ্চলের পাবর্ত্য এলাকায় বিমানটি বিপজ্জনক অবতরণ করতে বাধ্য হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার রোববার ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ বা বিপজ্জনকভাবে অবতরণ করেছে।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘মহামান্য প্রেসিডেন্ট এবং তার সঙ্গীরা বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টারে করে দেশে ফিরছিলেন। পথে খারাপ আবহাওয়া এবং কুয়াশার কারণে একটি হেলিকপ্টার হার্ড ল্যান্ডিং করতে বাধ্য হয়।’