ছবি: সংগৃহীত
ফিরোজ শাহ, জামালপুর: জামালপুরের ইসলামপুরে সুবিধাভোগীর তালিকায় নাম থাকা জেলেদের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের ইবিরুদ্ধে।
জানা যায়, ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত ১৮ই অক্টোবর থেকে ২রা নভেম্বর পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে জেলেদের কোনো কাজ না থাকায় উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের ২৩৫ জন জেলের মাঝে জনপ্রতি ২৫ কেজি করে ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেয় উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী চাল বিতরণ শেষ দেখানো হলেও, চাল না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে অনেকেরই।
সরজমিন গিয়ে ২০ জন সুবিধাভোগীর তালিকায় নাম রয়েছে এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা হয়। তাদের মধ্যে সুবিধাভোগীর তালিকায় ১৮৯নং সিরিয়ালে থাকা পশ্চিম গামারিয়ার মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মালেক উদ্দিন, ২০২নং সিরয়ালের আব্দুস সালাম, ২১৫নং সিরিয়ালের শাহিন মিয়াসহ ৮ জন জেলে তাদের বরাদ্দের চাল পাননি।
এ সময় কথা হয় সুবিধাভোগীর তালিকায় নাম থাকা জেলে বেড়ের গ্রামের বাসিন্দা ঋতুর ছেলে মালেকের সঙ্গে। তার দাবি, ‘সরকার নিষেধ করছিল মাছ ধরি নাই। আমাদের প্রতি বছর চাল দেয় এবার তো চাল পাইলাম না।’
একইদিন কথা হয় সুবিধাভোগীর তালিকায় নাম থাকা জেলে পূর্ব জারুলতলা গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্করের ছেলে আনোয়ারের সঙ্গে। তিনি এই প্রতিদেককে বলেন, আমাদের কষ্টের কথা ভেবে সরকার চাল দিলো। সেই চাল চেয়ারম্যান মেম্বাররা খাইলো আমগরে (আমাদের) লাভ হলো কি? আমরা আমাদের চাল চাই, এটাই আমাদের দাবি।
অভিযোগের বিষয়ে মোবাইল ফোনে পাথর্শী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইফতেখার আলম বাবুল বলেন, তাদের বলবেন পরিষদে এসে চাল নিয়ে যেতে। চাল পরিষদের গুদামে আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর ডিও ইস্যু করে দিয়েছিলাম। কেন তারা চাল পেলো না, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।