ঢাকা, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

একজন এখনো ‘নিখোঁজ’!

মোংলায় উত্তোলন করা হলো সমাহিত ব্যক্তির মরদেহ

মোংলায় উত্তোলন করা হলো সমাহিত ব্যক্তির মরদেহ

ছবি: গ্লোবাল টিভি

সোহেল রানা বাবু, বাগেরহাট: মোংলা উপজেলার চিলা এলাকায় হিলটন নাথের বাড়ি থেকে মাহে আলমের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় মোংলা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার ও মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দিনের উপস্থিতিতে এই মরদেহ উত্তলন শুরু করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাদ আছর মৃত মাহে আলমের জানাজা শেষে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক দাফন করা হয়।

এর আগে ৮ নভেম্বর হিল্টন নাথ হিসেবে সমাহিত মরদেহ উদ্ধার করে মাহে আলমের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। 

থানা পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গেল ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন চিলা এলাকার হিলটন নাথ। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাতনামা মরদেহ পাওয়া যায়। হিলটন নাথের মা বিথিকা নাথের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাতনামা মরদেহটি তার কাছে হস্তান্তর করে। হিলটন নাথ হত্যার বিষয়ে খুলনার দাকোপে এবং মাহে আলম নিখোঁজ বিষয়ে বাগেরহাটের মোংলা থানায় দুইটি পৃথক মামলা হয়।

পরে নিখোঁজ হওয়া ব্যবসায়ী মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলী আদালত হিলটন হিসেবে সমাহিত মরদেহটির ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ দেন। হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ টেস্টের পর সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয় , অজ্ঞাত মরদেহ হিলটন নাথের নয়। তবে সুন্দরবনে নিখোঁজ হিল্টন নাথবেঁচে আছে, না মারা গেছে, মারা গেলে তার মরদেহ কী হয়েছে, এ নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে মোংলা জুড়ে। 

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সামসুদ্দিন বলেন, মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হলে আদালতকে লিখিতভাবে জানানো হবে।