ঢাকা, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ | ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ | ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ!

উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ!

ছবি: গ্লোবাল টিভি

মো.শফিকুল ইসলাম মতি, নরসিংদী: নরসিংদীর বেলাবো উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে এসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চান ঐ তরুণী। এ বিষয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসক বরাবর গত ২৪ সেপ্টেম্বর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। 

এতে বলা হয়, প্রতিবেশী ইয়াসিন বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেন ঐ তরুণী ছাত্রীকে। পরে বিয়ে না করায় বিচার না পেয়ে বাড়ি ফেরার পথে একই এলাকার সারোয়ার, সৈকত,রফিকুল ইসলাম রবিন, এহসান গাড়িতে উঠিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান সমসের জামান লিটনের কাছে গেলে বিচারের আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যানের অফিসে নিয়ে শাটার বন্ধ করে তিনিও ধর্ষণ করেন, এমন অভিযোগ ঐ তরুণীর। 

একের পর এক ধর্ষণের শিকার হয়ে কোথাও বিচার না পেয়ে  হতাশায় ভেঙে পড়েন ঐ তরুণী। এরপর স্থানীয় শাওন, ফরহাদ, জয়, নাঈম, শুভ, অনন্ত, বিশাল, ইউসুফ, হামজা, তপন বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাদের গোপন স্থানে আটক রেখে প্রায় ৬ মাস অব্যাহতভাবে ধর্ষণ করে। ফলে সন্তান গর্ভে আসলে ৫ মাসের মাথায় নরসিংদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে এনে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটায় তারা। ঐ তরুণী তাদের হাতে এক প্রকার বন্দী জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়। কোথাও বিচার চাইতে গেলে একজোট হয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য করে তারা। 

এক পর্যায়ে ঐ তরুণী বাড়ি ছেড়ে নরসিংদীতে চলে আসেন। বর্তমানে একটি প্রাইভেট কলেজে অধ্যয়নরত আছেন। গত ২০ আগস্ট ঐ ছাত্রী নিজ বাড়িতে গেলে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বেলাব টি এন্ড টি রোড হতে টানাহেঁচড়া করে নিয়ে যেতে চাইলে ঐ ছাত্রীর চিৎকারে উঠিয়ে নিতে না পেরে মারপিট করে সাথে থাকা নগত টাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তারা। এরপর থেকে অব্যাহত হত্যার হুমকির কারণে চরম আতংকে দিন পার করছে ঐ ছাত্রী। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় গিয়ে বিষয়টি অবগত করলেও বিচার না পেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ঐ ছাত্রী। 

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়াম্যানসহ অভিযুক্তদের বার বার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি। 

বেলাবো উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা জান্নাত তাহেরার কাছে ফোনে জানতে চাইলে ঐ ছাত্রীর দেখা করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পূর্বের কাহিনী আমার জানা নেই, তবে  টি এন্ড টি এলাকা থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা অবগত হয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানার অফিসার ইনচার্জকে নিদের্শ দেয়া হয়েছে। 

বেলাবো থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীর আহম্মেদের কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি জানা নেই বলে জানান তিনি।