ঢাকা, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

১০ হাজার মানুষের পারাপারের ভরসা সুপারি গাছের সাঁকো!

১০ হাজার মানুষের পারাপারের ভরসা সুপারি গাছের সাঁকো!

ছবি: গ্লোবাল টিভি

সোহেল রানা বাবু, বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চিংড়াখালী ইউনিয়নে বলেশ্বর নদীর শাখা দাউরা খালের উপর চার দশক আগে নির্মিত ভাঙাচোরা আয়রন সাঁকোটি কয়েকটি গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ ৮-১০ হাজার মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ৪ দশকের ও বেশি সময় ধরে সেতুটি  ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরের সিডরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পারাপারের অনুপোযোগী হয়ে পড়লেও জনপ্রতিনিধিদের কোনো তৎপরতা নেই। 

উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল চিংড়াখালী ইউনিয়নের দাউড়া খালে উপর নির্মিত আয়রন সেতুটি দিয়ে কয়েকটি গ্রামের ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষের চলাচল। সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত এই সেতুটি নির্মাণ বা সংস্কারে জনপ্রতিনিধিরা উদাসীন। স্থানীয়দের চাঁদার টাকায় সুপারি গাছ দিয়ে এটি কোনোমতে পারাপার উপযোগী করে রাখা হয়েছে। 

এলাকবাসীর দাবি, এখানে একটি বেইলি সেতু হোক। জনপ্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য না দিয়ে কৌশলে এড়িয়ে যান। ইউপি চেয়ারম্যান আক্কাস আলী বুলুকে কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি। একাধিকবার আবেদন করেও একটি কালভার্ট বা ব্রিজ হয়নি। প্রতি বছরেই স্থানীয়দের আর্থিক সহায়তায় মেরামত করা হয় সাঁকোটি। বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। শিশু শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধদের বিকল্প নৌকায় করে পার করতে হয়। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা যায় না। এ সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে ইতিপূর্বে একজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর  ঘটনাও ঘটেছে।

এ বিষয়ে এলজিইডি বাগেরহাটের প্রধান প্রকৌশলী মোঃশরীফুজ্জামান জানান,অতি দ্রুত অর্থ সংস্থানের মাধ্যমে ব্রীজটি নির্মাণ করা হবে।