ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জয়ন্তী আজ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জয়ন্তী আজ

ফাইল ছবি

আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ। সাম্য, দ্রোহ ও প্রেমের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জয়ন্তী। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান পুরুষ কবি নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ সব্যসাচী লেখক। তার কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস।

জতি আজ গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছে জাতীয় কবিকে। ভোর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির অন্তিম শয্যা ভরে উঠেছে অগণিত মানুষের নিবেদন করা ফুলে। 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ, পাশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে। বাবা কাজী ফকির আহমেদ, মা জাহেদা খাতুন। ১৯৭২ সালে তৎকালীন বঙ্গবন্ধুর সরকার তাকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। কবি ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তার নামাজে জানাজায় লক্ষ লোকের সমাগম ঘটে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তিনদিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। 

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের নেতৃত্বে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দফতর ও সংস্থাসমূহ কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। এ বছর জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হবে নজরুল স্মৃতিবিজড়িত কুমিল্লায়। 

অন্যদিকে, ঢাকাসহ জাতীয় কবির স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশাল, কুমিল্লার দৌলতপুর, মানিকগঞ্জের তেওতা, চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা এবং চট্টগ্রামে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে নজরুল মেলা, নজরুল বিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে স্থানীয় প্রশাসন।