ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২ | ১৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ভোলায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা!

ভোলায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা!

ছবি: গ্লোবাল টিভি

মোঃ অনিক আহাম্মদ, ভোলা: ভোলায় আলোচিত ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ কুলসুম হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নিজের চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন স্বামী। 

বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী তছিরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। 

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, গত ২৮ এপ্রিল তছিরের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই জামাল, কামাল ও বিল্লাল গংদের সঙ্গে ৪ শতাংশ জমির বিরোধের জেরে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয় এবং এ ঘটনায় উভয়পক্ষের লোকজন থানা ও আদালতে মামলা করেন।

প্রতিপক্ষের মামলায় তছির ১ নম্বর আসামি। আদালত তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করলে ২ মে থেকে তছির শশুড়বাড়িতে আত্মগোপনে থাকেন। ১৪ মে রাতে তিনি বাড়িতে গিয়ে পানের সাথে স্ত্রীকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অসচেতন করে দা দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে রাতেই শশুড়বাড়িতে চলে যান। স্ত্রীকে হত্যা করার সময় তার ছোট ৩ সন্তান মায়ের পাশে ঘুমানো ছিল। ঘটনাটি তারা কেউই টের পায়নি।

পরদিন কুলসুম হত্যার ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তখন স্বামীসহ প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকজনকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের মামলায় তছিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তুলে কুলসুম হত্যার বর্ণনা দিয়ে তছিরের বিরুদ্ধে রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত তছিরের বিরুদ্ধে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ১৬৪ ধারায় স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেনি। এরপর নিহতের ভাই নুরুল ইসলামের দায়ের করা হত্যা মামলায় তছিরকে আদালতে তোলা হয়।

ওসি আরও জানান, কুলসুমের হত্যায় ব্যবহৃত দা বাড়ির পুকুর থেকে তোলা হয়েছে। রক্তমাখা পোশাকও পুলিশ জব্দ করেছে

গত ১৫ মে সকালে সদর উপজেলা ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রামদাসকান্দী গ্রামের কুলসুমের ঘর থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।