ঢাকা, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ | ১১ চৈত্র ১৪৩১ | ২৫ রমজান ১৪৪৬

বরগুনা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন নিয়ে শহর থমথমে

বরগুনা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন নিয়ে শহর থমথমে

ছবি : গ্লোবাল টিভি

হিমাদ্রি শেখর কেশব, বরগুনা : বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি বরগুনা ইউনিটের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভূক্তকরণ, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে ও নির্বাচনের তারিখ ১৫ দিন পিছিয়ে দেয়ার দাবিতে রাত ৮টায় বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সেক্রেটারি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে অন্যান্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণ। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সেক্রেটারি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ হুমায়ুন কবির, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাকির হোসেন মিরাজ, সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ হাসানুর রহমান ঝন্টু প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলেন, ১৮ মার্চ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি বরগুনা জেলা ইউনিটের ত্রি-বার্ষিক অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে মৃত ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভূক্ত করায় ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। ৯৩৪ জন আজীবন সদস্যদের নিয়ে তৈরি ভোটার তালিকায় ৬ মাস থেকে ৪ বছর আগে মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা করার দাবি জানালেও বর্তমান কমিটি মৃত ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভূক্ত করেই ভোটার তালিকা প্রকাশ করে।

বরগুনায় বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা চালাতে গেলে প্রতিপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় বরগুনা জেলা শহর আতঙ্কিত নগরীতে পরিণত হয়। বাংলাদেশ রেড ক্রিসের সোসাইটি বরগুনা ইউনিট ভবন সংলগ্ন এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফারণ ঘটিয়ে আতংকের সৃষ্টি করে। 

বক্তারা বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাৎসরিক সদস্য'র মেয়াদোত্তীর্ণ ৬ শতাধিক ব্যক্তির নাম গোপনে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচনের ২ দিন পূর্বে ১৬ মার্চ হাইকোর্ট থেকে একতরফা একটি আদেশ এনে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ব্যাহত করে। বৃহস্পতিবার রাতে বর্তমান ইউনিটের নেতৃত্বে থাকা সেক্রেটারি আঃ মোতালিব মিয়ার সমর্থকরা প্রতিদ্বন্দ্বী সেক্রেটারি প্রার্থী হুমায়ুন কবিরের কর্মীরা প্রচার অভিযান চালাতে গেলে তাদের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। 

সেক্রেটারি প্রার্থী হুমায়ুন কবির বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আমরা প্রচারণা চালিয়ে আসছিলাম। পরাজয় নিশ্চিত ভেবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আঃ মোতালিব গং বাতিল করা ৬ শতাধিক বাৎসরিক অজ্ঞাত ভোটার অন্তর্ভূক্তির জন্য একতরফা আদালত থেকে আদেশ এনে রেডক্রিসেন্ট ভবন দখল করে নেয়। আমার কর্মীদের মারধর করে, ব্যানার - ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে। ভোটার এবং প্রার্থী সকলেই আতংকিত হয়ে পড়ি। এ অবস্থায় নির্বাচন অনুুষ্ঠিত হলে তিনি রক্তাক্ত ঘটনা ঘটার আশংকা ব্যক্ত করেন। 

ইউনিটের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সিপিপি'র উপজেলা টিম লিডার জাকির হোসেন মিরাজ বলেন, মানবিক এই প্রতিষ্টানটিকে আজ একদল দৃর্বৃত্ত দখল করে রেখেছে। হঠাৎ করে ৬ শতাধিক বাতিল করা ভোটারদের তালিকায় অন্তর্ভূক্তির মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ এনে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে ফেলেছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে এরকম কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। 

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণ ইলেকশন কমিশনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট মনিরুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল মালেক মিঠু, মোঃ কামাল হোসেন সগির, মোঃ মনিরুজ্জামান জামাল, রাজিবুল হাসান রিমন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বরগুনা ইউনিটের সাবেক সেক্রেটারি এম এ বারী বাদল, আজীবন সদস্য মনির হোসেন কামাল, হিমাদ্রি শেখর দেবনাথ কেশব, গোলাম মোস্তফা কাদের, সহিদুল ইসলাম স্বপ্ন প্রমুখ।