ছবি: সংগৃহীত
চিনির দাম রেকর্ড বেড়ে ১২০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এদিকে নতুন করে আবারো পণ্যটির দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে চিনি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশন। সংস্থাটি প্রতি কেজি চিনির দাম পাঁচ টাকা বাড়িয়ে খোলা চিনি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১১২ টাকা করার ঘোষণা দিয়েছে। নতুন এ দাম আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। যদিও নতুন নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে এখন ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্যাকেটজাত চিনি বাজারে নেই বললেই চলে। এমনকি ডিলার পর্যায়েও মিলছে না চিনি। আবার যাও পাওয়া যাচ্ছে, তাও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। বাজারে এখন এক কেজি চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ওদিকে টিসিবির তথ্যও বলছে বাজারে চিনির কেজি এখন ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।
ফলে এক বছরে চিনির দাম বেড়েছে প্রায় ৫১ শতাংশ।
বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশন বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির ঊর্ধ্বমুখী দাম, ডলারের বাড়তি বিনিময় হার এবং স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন ব্যয় বিবেচনা করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ওদিকে ব্যবসায়ীদের চাপে পাঁচ মাসের ব্যবধানে চার দফায় চিনির দাম ৩৭ টাকা বাড়িয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার আবারো প্রতি কেজি চিনির দাম পাঁচ টাকা করে বাড়িয়ে খোলা চিনি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১১২ টাকা করার ঘোষণা দিয়েছে। সেই হিসাবে গত পাঁচ মাসে সরকার চিনির দাম কেজিতে ৩৭ টাকা বাড়িয়েছে।
বাড়তি দামে চিনি বিক্রি বন্ধ না করে নতুন করে আবারো চিনির দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি জানিয়ে কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন মানবজমিনকে বলেন, ব্যবসায়ীদের চাপে সরকার দফায় দফায় চিনির দাম বাড়াচ্ছে। এতে মানুষের কষ্টের মাত্রা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান চিনি আমদানি করে। এ জন্য তারা যে দাম নির্ধারণ করে সরকারকে সেটাই মানতে হচ্ছে। এখানে সরকারকে অনেক কাজ করতে হবে। ‘প্রতিযোগিতা’ কমিশনের ভূমিকা নিতে হবে-যাতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাড়ানো যায়।
এএইচ