অভিযুক্ত
ফিরোজ শাহ, জামালপুর: জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার চরবাণী পাকুরিয়া ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারি, দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়ে জানতে গেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণ করে ধাক্কা দিয়ে ভূমি অফিস থেকে বের করে দেন তিনি।
বুধবার বেলা ১২ টা দিকে চরবাণী পাকুরিয়া ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে এ ঘটনায় ঘটে।
ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিক আজকের পত্রিকা (মেলান্দহ উপজেলা প্রতিনিধি) ও ভোরের কাগজের (মেলান্দহ উপজেলা প্রতিনিধি)।
তিনি জানান, বুধবার দুপুরে ভূমি অফিস কার্যালয়ে সামনে দিয়ে মেলান্দহ পৌর শহরে যাওয়ার সময় দেখতে পান, ভূমি কার্যালয়ে জমি সংক্রান্ত ও ঘুষ কেলেঙ্কারি নিয়ে বাকবিতণ্ডা চলছে।
মুক্তা বেগম নামে একজন অভিযোগ করে বলেন, ৫ শতাংশ জমি খারিজ (নামজারি) করতে আমার কাছে থেকে ৬ হাজার টাকা নিয়েছে ছানাউল। পরে খারিজের কাগজ ইউএনও অফিস থেকে নিয়েছি। তিনি আরো বলেন, ছানাউল আমার কাছে থেকে টাকা নিয়ে আমার সাথে অসদাচরণ করে। পরে ওই ভূমি অফিস কার্যালয়ে দুইজন সাংবাদিক প্রবেশ করে বাকবিতণ্ডা বিষয়ে জানতে চাইলে,তাদের সাথে, অসদাচরণ করে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা,পরে ঘুষ কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রশ্ন করলে চেয়ার থেকে উঠে রুম থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, বুধবার বেলা ১২ টা দিকে ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা,ছানাউল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারি, দুর্নীতি ও অসদাচরণের বিষয় জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, কে অভিযোগ করেছে তার নামে মানহানি মামলা করব। আমার অফিসে সাংবাদিক আসলে ইউএনও অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে হবে।
ঐ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারি, দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ করেন স্থানীয়রাও। তারা আরো জানান, চরবাণী পাকুরিয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রুমে দরজা বন্ধ করে ঘুষ নেন। তার কাছে কোন ধরনের কাজ নিয়ে গেলে ৫ হাজার টাকা দিতে হয়। ভূমি কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী, তাঁর ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ করতে মানববন্ধন করবেন বলেও জানান তারা।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক সাকিব বলেন, ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল ইসলামের বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগেই থেকে ঘুষ কেলেঙ্কারি, দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগে করে আসছিলো সেখানকার ভুক্তভোগীরা, অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে আমরা দুইজন গণমাধ্যমকর্মী ঐ ভুমি অফিসে প্রবেশ করি, তারপর এধরনের ঘটনা ঘটে।
মেলান্দহ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহ জামাল বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা সাংবাদিকদের জন্য দুঃখজন। ওই ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ রয়েছে। ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের কর্মসূচির ঘোষণা করবে তারা।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন দুই ভুক্তভোগী সাংবাদিক।
মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম মিঞা বলেন, এ বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএইচ