ছবি: গ্লোবাল টিভি
মহিবুল্লাহ পাটোয়ারী কলাপাড়া, (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকার বেশিরভাগ জমি লবণাক্ত। এ জমিতেও ব্রকলি চাষ করা যায়, এমন ধারণা নেই উপকূলের কৃষকদের মাঝে। তবে এবার প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে বারবারা জাতের ব্রকলি চাষে সফল হয়েছেন এক যুবক। ফলন ভালো হওয়ায় এ বছর তার এ ব্রকলি বিক্রিতে সম্ভাব্য আয় হবে ২ লাখ টাকা। তার দেখাদেখি ইতিমধ্যে এ নতুন ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছে অনেক কৃষক।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লোন্দা গ্রামের যুবক কালাম মোড়ল (৪০)। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহায়তায় মাছের ঘেরের পাড়ে ৫০ শতক জমিতে চাষ করেছেন বারবারা জাতের ব্রকলি। সঠিক পরিচর্যা ও রোগ বালাই না থাকায় ফলন হয়েছে বাম্পার। বর্তমানে এক একটি ব্রকলির ওজন হয়েছে দেড় থেকে দুই কেজি। ইতিমধ্যে তিনি ১ শ টাকা কেজি দরে ৫০,০০০ টাকার ব্রকলি বিক্রি করেছেন। এ মৌসুমে তিনি ২ লাখ টাকার ব্রকলি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। তাই আনন্দের হাসি কালামের মুখে। বর্তমানে কালাম মোড়লের ব্রকলির ক্ষেত ঘুরে দেখছেন ওই এলাকার অনেক কৃষক। তার সফলতা দেখে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন ব্রকলি চাষে।
যুবক কালাম বলেন, প্রথমে কৃষি অফিস থেকে বারবার জাতের আটি সংগ্রহ করে চারা করেছি। পরে ২ হাজার চারা ঘেরের পারে রোপণ করেছি। এ ঘেরটিও আমার নয়, স্থানীয় একজনের কাছ থেকে লিজ নিয়েছি। এতো ভালো ফলন হবে আমি নিজেও আশা করিনি। অনেকেই বলেছে, লবণাক্ত জমিতে ব্রকলি চাষ হবে না। ইতিমধ্যে আমি ৫০ হাজার টাকার ব্রকলি বিক্রি করেছি। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশা করছি আরও দেড় লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।
লোন্দা গ্রামের কৃষক জাহিদুল মিয়া বলেন, এবছর আমরা তরমুজ চাষ করেছি। তবে কালামের ব্রকলির ভালো ফলন হয়েছে। লবণাক্ত জমিতেও।
এতো ভালো হবে জানলে আমরাও ব্রকলি চাষ করতাম।
চম্পাপুর গ্রামের কৃষক শামীম মিয়া বলেন, কালাম মোড়লের ব্রকলির ক্ষেত ঘুরে দেখেছি। বেশ ভালই ফলন হয়েছে। আগামী আমিও ব্রকলির চাষ করবো।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, কৃষি অফিসের সহায়তায় ব্রকলি চাষে সফল হয়েছেন কালাম মোড়ল। তার দেখাদেখি আরও কোন কৃষক ব্রকলি চাষে আগ্রহী হলে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা এবং পরামর্শ দেয়া হবে । আমরা আশা করছি এ উপজেলায় ব্রকলি চাষের ব্যাপক সম্প্রসারন ঘটবে, এমন প্রত্যাশা সকলের।
এএইচ