ছবি: গ্লোবাল টিভি
হিমাদ্রি শেখর কেশব, বরগুনা: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘায় প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে বিদ্যালয়ে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পোড়াতে গিয়ে মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হলো লাকুরতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারজানা(৮)। কুড়িয়ে আনা ময়লার স্তুপে আগুন দিতে গেলে নিজেই শিকার হয় অগ্নি দগ্ধের। এতে শিশুটির শরীরে ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত শিশুটিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করেন।
জানা যায়, সোমবার বেলা সাড়ে এগারটায় ঘটনার সময় বিদ্যালয় ও তার আশেপাশে থাকা পুরাতন কাগজপত্র, ময়লা-আবর্জনায় ঝাড়ু দিতে বলে প্রধান শিক্ষক সালমা আক্তার। শিশু শিক্ষার্থী ফারজানা ময়লা আবর্জনা ও পলিথিন জড়ো করে বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত ভবনে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে সঙ্গে সঙ্গেই ফারজানার গায়ে আগুন লেগে যায়। আগুন তার পরিহিত পোশাকে লেগে যায়। এতে ফারজানার পায়ের তালু এবং মুখ-মন্ডল ব্যতিত সারা শরীর আগুনে ঝলসে যায়। এ সময় একজন দৌড়ে এসে ফারজানাকে নিয়ে পুকুরে ঝাপ দেয়। পরবর্তীতে অগ্নিদগ্ধ ফারজানা কে নিয়ে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালামা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ের সামাজিক কর্মকান্ড হিসেবে তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে জমে থাকা ময়লা আবর্জনা পলিথিন কুড়িয়ে পরিচ্ছন্ন করছিল। এক সময় তারা বিদ্যালয়ের পাশে পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিদ্যালয় ছুটি হলে ফারজানা পরিত্যক্ত ভবনে গেলে তার গায়ে আগুন লেগে যায়।
ফারজানা কালমেঘা ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের ফারুক খানের মেয়ে। আদরের সন্তানের আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে তার পরিবার এখন বাকরুদ্ধ।
এএইচ