ঢাকা, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম

খুলনায় ৩৫২.২৬ কিলোমিটার হাইওয়ে উদ্বোধনের অপেক্ষায়

খুলনায় ৩৫২.২৬ কিলোমিটার হাইওয়ে উদ্বোধনের অপেক্ষায়

ছবি: গ্লোবাল টিভি

আনিছুর রহমান কবির, খুলনা : গত তিন অর্থবছরে সারা বাংলাদেশে ১৪ হাজার ৯১৪ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মোট ২০২১.৫৭ কিলোমিটার উন্নয়নকৃত সড়কের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। আগামী ২১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সড়কের উদ্বোধন করবেন। যার মধ্যে খুলনা বিভাগে রয়েছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা ব্যয় ৩৫২.২৬ কিলোমিটার হাইওয়ে রাস্তা। এর মধ্যে রয়েছে মোট ১৬টি হাইওয়ে।

যশোর জেলায় রয়েছে ৩৬২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫৫.০৩ কিলোমিটার রাস্তা। মাগুরা জেলায় রয়েছে ১৬৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩৪.৬৯ কিলোমিটার রাস্তা। খুলনায় জেলায় রয়েছে  ১৪২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২৯ কিলোমিটার রাস্তা। সাতক্ষীরা  জেলায় রয়েছে  ১২১ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২৪.৮০ কিলোমিটার রাস্তা। বাগেরহাট জেলায় রয়েছে ৩৬৯ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৮৫.৮০ কিলোমিটার রাস্তা। কুষ্টিয়া জেলায় রয়েছে ১৬৪ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩৩.৪৯ কিলোমিটার রাস্তা। ঝিনাইদহ জেলায় রয়েছে  ১২৩ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৬৩.৪৬ কিলোমিটার রাস্তা। নড়াইল জেলায় রয়েছে  ১১৭ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২৫ কিলোমিটার রাস্তা।

১৯৯৬ হতে ২০০১ এবং ২০০৯ হতে এ পর্যন্ত বর্তমান সরকারের দূরদর্শী পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এক্সপ্রেসওয়ের যুগে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারা বাংলাদেশে এক্সপ্রেসওয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসাণের জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। আইটিএস ও অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সমন্বিত উদ্যোগে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগেই বাংলাদেশের মহাসড়ক গুলো স্মার্ট হাইওয়ে হিসেবে নির্মিত হবে। এরই ধারাবাহিকতায় অনগ্রসর জনপদের গণমানুষের জীবন মান উন্নয়ন এবং প্রতিবন্ধহীন সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপনের অভিলক্ষ অর্জনে সমগ্র দেশে আজ একই সাথে ২০০০ কিলোমিটার উন্নয়নকৃত মহাসড়ক উদ্বোধন করা হচ্ছে। 

বাংলাদেশের ৮টি বিভাগে ৫০টি জেলায় ১০০টি মহাসড়কে করা হয়েছে, যার সর্বমোট দৈর্ঘ্য ২,০২১.৫৬ কিলোমিটার। মোট ১৪,৯১৪.৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়নকৃত মহাসড়কসমূহের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬৫৩.৬৬ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৫৮.৯০ কিলোমিটার, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৪২.৪৮ কিলোমিটার, সিলেট বিভাগে ১০৬.১৮ কিলোমিটার, খুলনা বিভাগে ৩৫২.২৬ কিলোমিটার, বরিশাল বিভাগে ১০৭.২৬ কিলোমিটার, রাজশাহী বিভাগে ১৯৬.৮৭ কিলোমিটার এবং ২০৩.৯৫ কিলোমিটার মহাসড়ক রংপুর বিভাগে অবস্থিত। 

এই দুই সহস্রাধিক কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে অন্যতম জয়দেবপুর হতে টাঙ্গাইল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ ধীরগতির যানবাহনের পৃথক লেনসহ নির্মিত মহাসড়ক। মহাসড়কটি নির্মিত হয়েছে (এসএএসইসি) ফোরামের সাথে সংশ্লিষ্ট সড়কসমূহের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়নের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে। গাজীপুরের ভোগড়া থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত জাতীয় মহাসড়কটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় গমনাগমন সহজ ও আরামদায়ক হবে এবং এর ফলে ঢাকার সাথে উত্তরাঞ্চলের পাশাপাশি প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে, ফলে উক্ত মহাসড়কটি জিডিপি’র প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

এ বিষয়ে সহজ খুলনা জোন-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সাথে সাথে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যেমন বেগবান হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনা বিভাগের এই ১৬টি রাস্তা নির্মাণের ফলে খুলনা বিভাগে মংলা ভোমরা ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সড়ক ব্যবস্থা যেমন বাড়বে তেমনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে। 

এএইচ