ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের সরকার বাংলাদেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আজ শনিবার ‘আন্তর্জাতিক ইলিশ, পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসব-২০২২’ উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে তিনি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যান জাতির পিতা। তার দেখানো পথ অনুসরণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও পদক্ষেপ বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক ইলিশ, পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসব-২০২২’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর গত ৫১ বছরে আমাদের যা কিছু অর্জন তা জাতির পিতা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরেই অর্জিত হয়েছে। বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম আজ সম্মানের সঙ্গে উচ্চারিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শুরু থেকেই কৃষি খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। আমরা কৃষি খাতে ভর্তুকি এবং কৃষি ঋণের পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়ানোর ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে তৃতীয় ধান উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। কেবল ধান নয়, দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন ও রপ্তানি আয়ে মৎস্য খাতের অবদান আজ সর্বজনস্বীকৃত।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ‘দ্য স্টেট ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী মিঠাপানির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশের অবস্থান ২য়, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে বিশ্বে ৩য় এবং বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১ম ও তেলাপিয়া উৎপাদনে ৪র্থ। দেশ এখন মাছে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণই না, উদ্বৃত্তও বটে। এ অর্জন জাতির জন্য গৌরবের।
তিনি বলেন, অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত। এমডিজির লক্ষ্যগুলো সফল বাস্তবায়নের পর এসডিজির লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নের পথেও বাংলাদেশ দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়িত হয়েছে। আমরা এখন ‘রূপকল্প-২০৪১’ এবং ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ নিয়ে কাজ করছি, এগুলোর সফল বাস্তবায়ন দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে আমরা সক্ষম হব।
এএইচ