ছবি: সংগৃহীত
মফিজুর রহমান লিমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: বিএনপির আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বলেছেন, শন্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলি করে ছাত্রদল নেতা নয়নকে হত্যা করা হয়েছে। এ ধরনের হত্যাকান্ডের কারণেই ইতিপূর্বে র্যাবের উপর স্যাংশান হয়েছে। সুতরাং পুলিশ ভাইয়েরা সাবধান হয়ে যান। নয়ন হত্যার বিচার বাংলার মাটিতেই হবে।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় ও আন্তজার্তিক চক্রান্তে ভোট কারচুপির মাধ্যমে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসেছেন। তারপর থেকে বিনা ভোটে নির্লজ্জর মত ক্ষমতায় বসে আছেন। আপনারা মনে করেছেন, এর জবাব দিতে হবে না? সব কিছুর হিসাব আমরা নেব। আপনারা যেভাবে ২০১৪ ও ১৮ তে বিনাভোটে লুটপাটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আছেন। মনে করবেন না, ২০২৪ সালে সেই ওয়াকওভার পাবেন। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের সমুচিত জবাব দেবে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামে নিহত নয়নের বাড়িতে তার, মা, স্ত্রী ও পরিবারবর্গের সাথে দেখা করে তাদের প্রতি সমবেদনা জানানোর পর এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় নেতাকর্মীদের গণতন্ত্রের আন্দোলনে শরীক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গোয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সঠিকভাবে গণতন্ত্রের যুদ্ধ করতে পারলে এ ধরনের পুলিশ খালে, বিলে ও নদীতে ভেসে যাবে। নয়নের রক্ত বৃথা যাবে না। জনগণের আদালতেই নয়ন হত্যার বিচার হবে।
প্রতিনিধি দলে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, সাবেক এমপি এম এ খালেক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দর উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে নিহত নয়নের পরিবারের জন্য ২ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১৯ নভেম্বর বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কুমিল্লার বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সফলে লিফলেট বিতরণকালে পুলিশের গুলিতে সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি নয়ন নিহত হন।
এএইচ